কক্সবাজারে মোখার তাণ্ডব, ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩ ০৩:৩৭; আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ২২:২৮

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজার জেলায় ১০ হাজার ৪৬৯টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের সেন্টা মার্টিনেই বিধ্বস্ত হয়েছে ১২০০ ঘরবাড়ি। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। ক্ষয়ক্ষতির এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।

রবিবার (১৪ মে) বিকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, গাছ-গাছালি, ঘর-বাড়ির অনেক ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, কল্যাণপাড়া, জাদিমুড়া রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র এখন মিয়ানমারে। অধিদপ্তর বলছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার অকারে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, মোংলা সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে আট নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top