নাশকতার তিন মামলা

সোহেল-নীরবসহ বিএনপির ৩৬ জনের সাজা

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০৪; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ০৫:৫১

ছবি: ফাইল

রাজধানীর পল্টন, মিরপুর ও বাড্ডা থানায় নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ৩৬ জনকে সাজা দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিচার শুরু হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোহেল-নীরবসহ বিএনপির ৩৬ জনকে সাজা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানসহ ১৯ জনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-মশিউর রহমান বিপ্লব, আলহাজ মো. রেফাত উল্লাহ, আবদুস সালাম, আলমগীর কবির, সাইদুর রহমান খোকন, কামাল হোসেন সুমন, আবদুল্লাহ আল মামুন, সোবহান মিয়া, শাকিল হাওলাদার ওরফে বেল্লাল বয়াতি, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আরিফুল হক আরিফ, খন্দকার এনামুল হক এনাম, আবুল কালাম আজাদ, আলমগীর হোসেন, আবদুস সালাম। এদিকে মামলা চলাকালে শফিউল বারী বাবু মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালে নাশকতার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় পৃথক দুই ধারায় বিএনপির পাঁচজনের আড়াই বছর সাজা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-আবদুর রহমান সুজন, সামদানী আলী, রাশেদ ইমাম স্বাধীন, সম্রাট, শামীম পারভেজ। ২০১৮ সালে নাশকতার অভিযোগে বাড্ডা থানায় করা মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে ২ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-সাদেক হোসেন রিপন, আবদুল কাইয়ুম, আবুল আতিক ওরফে টুটুল, আনোয়ারুল ইসলাম খোকন, কে জামান, মাকসুদ হোসেন, আয়নাল হক ওরফে আয়নাল মেম্বার, আবির, নবি হোসেন, রায়হান, সামির হোসেন ও আব্দুস সামাদ ওরফে গ্রিল সামাদ।

আমানসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিচার শুরু : কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় করা নাশকতার দুই মামলায় আমানউল্লাহ আমানসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একেএম রকিবুল হাসানের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ জুন কেরানীগঞ্জের হজরতপুরে মেঘু মিয়া মাতুব্বর হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং আমান জামে মসজিদে ইফতারে আমান উপস্থিত হলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

খবর পেয়ে হজরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নালসহ আওয়ামী লীগের ৩০-৪০ জন সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় বিএনপির ৩০০-৪০০ নেতাকর্মী পিস্তল, রিভলভার, ককটেল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ককটেল বিস্ফোরণে চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহের আলী ৪ জুন মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর আমানসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ আলম। দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অপরদিকে, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর ১৮ দলীয় জোটের ডাকা সড়ক, রেল, নৌপথ অবরোধের অংশ হিসাবে নেতাকর্মীরা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকায় যানবাহনের গতিরোধ করে। তারা গাড়ি ভাঙচুর ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পরদিন মামলা হয়। তদন্ত শেষে একই থানার উপ-পরিদর্শক অশোক কুমার ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top