আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড : দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫৪; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০৭

ছবি: সংগৃহিত

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসন।

তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল। চার কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন রাফিউল হাসান রাসেল, তৌহিদুল জনি, হাফিজুর রহমান তুফান ও মনিরুজ্জামান পলাশ। তিন কর্মচারী হলেন নুরুন্নবী, আশিকুন্নাহার টুকটুকি ও আমির হোসেন আমু।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচার্য বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক, একাডেমিক শৃঙ্খলা, তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলের সিট বাণিজ্য, হলে দখলদারত্ব এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারেও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অচিরেই ছাত্র সংসদ চালু করা হবে। তিনটি আবাসিক হলেও থাকবে ছাত্র সংসদ। এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছুটি ছাড়া যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের ছুটি মঞ্জুর না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার জন্য তাদের সাময়িক বরখাস্তসহ কারণ দর্শানো হবে।’

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হন।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top