রুয়েটে স্বৈরাচার মুক্ত বাঁধাহীন পরিবেশে সম্মিলিত ইফতার: সৌহার্দ্য ও ঐক্যের মিলনমেলা
রুয়েট প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৫ ০০:০১; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০১:১০

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আজ রবিবার (০২ মার্চ) শহীদ মিনারের সামনে এক সম্মিলিত ইফতার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং এক আনন্দঘন মিলনমেলা, যেখানে সৌহার্দ্য, বন্ধুত্ব ও ঐক্যের সুন্দর প্রকাশ ঘটে।
রমজান মাস ধর্মীয় অনুশীলনের পাশাপাশি বাঙালির সংস্কৃতি ও সামাজিক বন্ধনের প্রতীকও বটে। ইফতার বাঙালির ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার এক বিশেষ উপলক্ষ। এই ঐতিহ্যকে ধরে রেখে রুয়েট শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের প্রথম রমজানে একত্রিত হয়ে আয়োজন করেছিল "ইফতার সন্ধ্যা"।
গত বছর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে (যেমন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি) প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মিলিত ইফতার আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সে সময় রুয়েটের শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদস্বরূপ সম্মিলিত ইফতার আয়োজন করেছিল, যদিও তাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। তবে এবার পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ও বাধাহীনভাবে ইফতারের আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছে, যা তাদের জন্য এক ইতিবাচক পরিবর্তন।
সন্ধ্যার আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা ইফতারের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে—কেউ শরবত বানাচ্ছে, কেউ পানি আনছে, কেউবা খাবার ভাগ করে নিচ্ছে। এই সম্মিলিত আয়োজন পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত উৎসবে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি সামাজিক সংহতি ও ঐক্যের চিত্র ফুটে ওঠে।
রমজানের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের এই একতাবদ্ধ উদ্যোগ প্রমাণ করেছে যে ইফতার শুধু খাবারের সময় নয়, বরং এটি সম্প্রীতি, বন্ধন ও ঐক্যের প্রতীক। এবারের ইফতার আয়োজনে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকায় শিক্ষার্থীরা আরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, যা এই মিলনমেলাকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে। রুয়েটিয়ানরা আশা করছে, এই ঐক্য ও সম্প্রীতির ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: