স্বাধীনতাত্তর নেতৃবৃন্দকে পুঁজি করে সুবিধা পেতে চেয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো
মোহাম্মাদ সাদ, ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫ ১৬:৫২; আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ২৩:২৮

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) উপাচার্য ড.নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের এই পর্যন্ত স্বাধীনতাত্তর যে নেতৃবৃন্দ সেই নেতৃবৃন্দেরকে খণ্ডিত চরিত্রে দেখা হয়। স্বাধীনতাত্তোর নেতৃবৃন্দকে পুঁজি করে সুবিধা পেতে চেয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করে একটি ইউনিভার্সাল ক্যারেক্টারে পরিণত হয়েছেন।
রবিবার (২৯জুন) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, দোয়া ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় উপাচার্য ড নকীব মোঃ নসরুল্লাহ বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের মানুষকে একটি পথ ও নির্দেশিকা, ঐক্য এবং রাষ্ট্র গড়ার একটি দর্শন দিয়ে গেছেন। এই জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অনন্তকাল ধরে একটি রাজনৈতিক আদর্শ এবং গণতান্ত্রিক আদর্শের জন্য মাইলফলক হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
এজন্য আমরা যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোচনায় যাই, ৭৫ পরবর্তীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাদ দিতে পারবো না। বাংলাদেশে আমরা যদিও বলি যে এই রাষ্ট্রটি বহুমাত্রিক হিন্দু, মুসলমান সবাই এখানে বাস করে। এই কথায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এই জাতীয়তাবাদের কথা আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। আমরা যদি দেশের মানুষের ঐক্য চাই তাহলে ওই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কথা বাদ দেওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী এমন অবস্থার তৈরি হয়েছিল যেখানে বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও সেকুলারিজমের নামে তখন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম মনে করতো বাংলাদেশ মনে হয় ইসলাম শূন্য হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদ আর ইসলামী মূল্যবোধ সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান কোন খন্ডিত ব্যক্তিত্ব নয় তিনি আপামর জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিত্ব।’
জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের সভাপতি আব্দুল মঈদ বাবুলের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান, জিয়া পরিশোধের মহাসচিব অধ্যাপক ড.এমতাজ উদ্দিন, জিয়া পরিশোধের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আলিনুর রহমান ও প্রোক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদসহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: