শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা, চিন্তায় অভিভাবকরা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৫৯; আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ১৮:১৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতিতে রংপুর অঞ্চলে এসএসসি পরীক্ষা প্রত্যাশী দুই লাখ ও বিভিন্ন শ্রেণির ৮ লাখের ওপর শিক্ষার্থীর মাঝে আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তবে বকেয়া বেতন নিয়ে অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

করোনার কারণে ১৯ মাসের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিগত দিনের সব বেতনসহ পুনঃভর্তি ফি পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে অভিভাবকদের।

অথচ শিক্ষা অফিস বলছে, মন্ত্রণালয় শুধু টিউশন ফি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওই নির্দেশ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই মানছে না। নামিদামি ও আর্থিকভাবে সচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অনিয়ম বেশি দেখা যাচ্ছে।

রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে ৭১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এএসসি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনায় বন্ধের সময়ের বিভিন্ন ফি’র জন্য অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে।

রংপুর নগরীর একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সামিউল হোসেন জানান, তাকে বিদ্যালয় থেকে বলা হয়েছে বন্ধের সময়ের পুরো বেতন ও অন্যান্য ফি দিতে হবে। পুরো বকেয়া দিতে গেলে তার ঋণ করা ছাড়া উপায় নেই। তিনি সন্তানের চিন্তায় দিশেহারা। আরেক অভিভাবক মনোয়ার হোসেন বলেন, তাকেও বকেয়া পুরো বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তাতে কয়েক হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা সংগ্রহ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের মতো হাজার হাজার অভিভাবক সন্তানদের বকেয়া-বেতন নিয়ে চিন্তিত। শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে এভাবে বকেয়া-বেতনসহ অন্যান্য ফি নেওয়া বেআইনি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে শুধু টিউশন ফি নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বেশি নিলে সেটা বেআইনি। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

সূত্র: যুগান্তর/এএস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top