রাজশাহীর ঝলমলিয়া হাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

আরিফ সাদাত, পুঠিয়া | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২০ ২২:৪৭; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ০৬:২৫

রাজশাহীর পুঠিয়া ঝলমলিয়া হাটে খাজনা আদায়ের নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে মাত্রারিক্ত টাকা নিচ্ছে ইজারদার। ব্যবসায়িদের অভিযোগ ইচ্ছেমত অর্থ হাতিয়ে নিতে ইজারদার সার্বক্ষনিক পৌরসভার সাথে বিশেষ যোগাযোগ রাখছে। যার কারণে পৌরসভা খাজনার মূল্য তালিকা ও রশিদ প্রদানের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে করে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় ইজারদারের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানাগেছে, পৌর এলাকার বৃহৎ ঝলমলিয়া হাট চলতি বাংলা সনের জন্য মোট ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকায় ইজারা নেন কানাইপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম এহিয়া। পরবর্তিতে তিনি ইনছার আলী নামে এক সাব ইজারদারের নিকট হাট বিক্রি করে দেন।
সরেজমিনে গত সোমবার হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে খাজনা আদায়ের জন্য কোথাও কোনো মূল্যে তালিকা দেয়া নেই। স্থানীয় কিছু লোকজন ইজারদারের নিকট থেকে হাটের প্রতিটি স্থান সাব লীজ নিয়ে আলাদা ভাবে খাজনা আদায় করছে। প্রতিমণ সবজিতে আদায় করা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধান-গম প্রতিমণ ২০ থেকে ৩০ টাকা, হাস-মুরগি প্রতিটি ১৫ টাকা, হাটে আগত প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যাসায়িদের নিকট থেকে ৫০ টাকা আর মাছ ব্যবসায়িদের নিকট থেকে ১২০ টাকা হারে খাজনা নেয়া হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে খাজনা নিলেও তাদের কোনো রশিদ দেয় না। হাটে আগতরা বিষয়টি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করেও তার কোনো সুফল পাচ্ছেন না।
স্থানীয় ব্যবসায়িরা বলছেন, সপ্তাহে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ঝলমলিয়া হাট বসে। সরকারী নিয়ম অনুসারে হাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে পণ্যের নাম তালিকা ও খাজনার পরিমান উল্লেখ করে সাইনবোর্ড দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ পৌরসভার গাফলতির কারণে এই হাট ইজারাদার কোনো প্রকার নিয়মনীতি মানছেন না। আবার খাজনা আদায় করা হলেও তারা আমাদের কোনো রশিদ দেয় না। যার কারণে ইজারদার তার ইচ্ছেমত জোরপূর্বক খাজনার নামে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসায়িরা আরো বলেন, মাঝে মধ্যে কাঁচামালের বাজার চড়া হলে খাজনার পরিমান আরো বেড়ে যায়।
তবে হাটের বর্তমান ইজারদার ইনছার আলী বলেন, এই হাটে গত ২০ বছর থেকে মূল্য তালিকা কিংবা রশিদ লাগে না। আমরা নিয়ম মাফিক হাটে খাজনা আদায় করি। এ বছর স্থানীয় কিছু লোকজন হাটে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, হাট ইজারা দেয়ার প্রথম শর্তই থাকে পণ্যর নাম উল্লেখ করে খাজনার তালিকা বিভিন্ন স্থানে লাগানো। আর অতিরিক্ত খাজনা আদায় হচ্ছে এমন কোনো বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, ঝলমলিয়া হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি আমি শুনেছি। ইতিমধ্যে আমি পৌরসভাকে অবহিত করেছি। আর তাদেতর বলা হয়েছে হাটে খাজনার মূল্যে তালিকা লাগিয়ে রশিদের মাধ্যমে খাজনা আদায় করতে। অন্যথায় আমরা অচিরেই আইনী ব্যবস্থা নিব।

 

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top