অস্বাভাবিক দামে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ

রাজশাহীতে অপরিপক্ব ও অনুপোযোগী তরমুজে বাজার দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৪ ১৮:১৫; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৩৭

ফাইল ছবি

রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে অপরিপক্ব ও খাওয়ার অনুপোযোগী তরমুজে বাজার দখল করেছে। অপর দিকে অস্বাভাবিক দামের কারণে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। রমজানে বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব তরমুজ বিক্রি করছেন। এসব ফলের রঙ ও স্বাদ অনেক কম।

তথ্য মতে, তরমুজের মৌসুম শুরু হয় চৈত্রের শেষে ও বৈশাখের শুরুতে। ইংরেজী মাস গননায় এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত তরমুজ পাওয়া যায়। কিন্তু রাজশাহীর বাজারে ফেব্রয়ারি থেকেই দেখা মিলছে তরমুজের। বিক্রেতা বলছেন, এগুলো বারোমাসি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। মৌসুম শুরু হলে আবারও তরমুজ উঠবে। তবে সবচেয়ে বেশি তরমুজ বিক্রি শুরু হয় রমজান মাসের শুরু থেকে। ক্রেতাদের অভিযোগ, এসব তরমুজ অপরিপক্ব। খাওয়ার অনুপোযোগী। পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু না হলেও রমজানে বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ব তরমুজ মাঠ থেকে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। এসব ফলের রঙ ও স্বাদ অনেক কম। তারপরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রসালো ফলটি।

রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজার, পাড়া ও মহল্লার মোড়ের দোকানে ছোট ও মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকাা। গত বছর প্রতি কেজি বিক্রী হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এর আগের বছর ২০২২ সালেও এরকমই দামেই বিক্রি হয়েছিল। বিক্রেতারা বলছেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পুরোদমে তরমুজের মৌসুম শুরু হবে। তখন দাম কিছুটা কমবে।সাহেববাজার এলাকার খুচরা ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, আমাদের আড়ত থেকে কিনে আনতে হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।

এখানে নিয়ে এসে ৫ টাকা লাভে আমরা তরমুজ বিক্রি করছি। মৌসুম শুরু হলে দাম কমে যাবে।নগরীর শালবাগান এলাকার ফলের আড়তদার শাহজামাল বলেন, গতবার এ সময় যে ১০০ তরমুজ ১৫ হাজার টাকায় আড়ত থেকে কেনা যেত। এবার তা ২৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমাদের আরও খরচ আছে। এর মধ্যে পরিবহন ও শ্রমিকদের টাকা দিতে হয়। সেগুলো যোগ করে পাইকারি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। এখান থেকে নিয়ে গিয়ে খুচরা বিক্রি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। আবার কেউ বেশি দামেও বিক্রি করছে। আড়তদাররা বলছেন, এসব তরমুজ বরিশাল বিভাগ নিয়ে আসা হচ্ছে। বরগুনা ও ভোলা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে তরমুজ। এরপর নিয়ে আসা হবে খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে। নাটোরের তরমুজ সব শেষে নিয়ে এসে বিক্রি করা হয়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top