মেঘনায় ভ্রমণতরি ডুবে নারীর মৃত্যু, পুলিশসহ নিখোঁজ ৮

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১১:০১; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২০

- ছবি - ইন্টারনেট

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও আট যাত্রী।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল দে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারে না। এজন্য উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। এতে একাধিক নৌ পুলিশটিম ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top