রক্তপাত, খুনের জন্য দায়ী কাদের মির্জা: বাদলের পরিবার

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২১ ০২:৫৪; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২৩

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সব সংঘর্ষ, রক্তপাত, খুনের জন্য মেয়র কাদের মির্জাকে দায়ী করেছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পরিবার। তারা বাদলের নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেন।

তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকলী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন।

বাদলের স্ত্রী কাকলী দাবি করেন, কাদের মির্জার যড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বিনা কারণে তার স্বামী জেলে রয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জে সব সংঘর্ষ, সহিংসতা, রক্তপাত খুনের জন্য একমাত্র আবদুল কাদের মির্জা দায়ী।

কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জের সব ‘অপরাজনীতির হোতা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, যাদের লোক মারা গেছে তাদের কোনো মামলা নেয়া হয়নি, পুলিশ টালবাহানা করছে। কিন্তু যাদের লোক মারা যায়নি তাদের মামলা নেয়া হয়েছে।

বাদলের মা আরাধন বেগম বলেন, একেবারে মিথ্য বানোয়াট কারণে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সব সংঘাতের জন্য কাদের মির্জা একমাত্র দায়ী।

এ সময় তিনি দ্রুত কাদের মির্জাকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের ওপর মহলের কাছে দাবি জানান।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বড় বোন ফাতেমা আক্তার বকুল, ছোট বোন আমেনা বেগম।

মিজানুর রহমান বাদল (৪৯) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।

এরপর মঙ্গলবার উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্ত্বরে রাত ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলা উদ্দিন নামে যুবলীগের এক কর্মীও মারা যান।

 

 

 

সূত্র: দেশ রুপান্তর

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top