বাড়তি দামের আশায় পেঁয়াজ চাষের হিড়িক

লালন উদ্দীন, বাঘা | প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০২২ ০৯:৪৫; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ০০:৫৯

রাজশাহীর বাঘায় বাড়তি দামের আশায় পেঁয়াজের চারা রোপন করতে কৃষকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে মসলা হিসেবে পিঁয়াজ অন্যতম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পিঁয়াজ চাষীরা পিঁয়াজ চাষে আগ্রহী হিড়িক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেল কোন চাষী নিজের জমিতে আবার কোন কোন চাষী বর্গা হিসেবে পেঁয়াজ চাষ করছেন যা চোখে পড়ার মত। পেঁয়াজ চাষী আকছেদ মোল্লা, আব্দুল্লাহ, সাইফুল বলেন পেঁয়াজের চারা ক্রয় করে রোপন করছি। আবার কেউ কেউ বলেন আমরা কৃষিসম্পসারণ অফিস থেকে প্রণোদনা বীজ নিয়ে চারা তৈরি করে নিজ জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপন করছি। পিঁয়াজ চাষে ব্যপক খরচ হয়। একদিকে পেঁয়াজের চারা রোপন করছে আরেক দিকে সেচ চলছে। শ্রমিক, সার, কৃটনাশক, ৭/৮ বার সেচ দিতে হয়।

গত ২ বছর আগে অস্বাভাবিক ভাবে ২০০ শত টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে। আমাদের এত দরকার নেই যাতে কৃষক হিসেবে আমরা পেঁয়াজ চাষ করতে পারি যেন একটা স্বাভাবিক দাম পাবো বলে আশায় পেঁয়াজ চাষ করছি। কৃষক সোহেল, লিটন, কামরুল, নাসির, বাদশা ,শইদুল, আলাউদ্দীন, কামাল বলেন পেঁয়াজ চাষে আসলেই একটু খরচ বেশি হয়। যারা চাষাবাদ করে তারাই ভালো জানেন। বর্তমানে করোনা ও ওমিক্রন চলছে উপেক্ষা করে ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে পেঁয়াজের চারা রোপন করছি। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর যেন আমাদের একটু দেখা-শোনা করে ও পেঁয়াজের স্বাভাবিক নিজের ও দেশের চাহিদা মিটিয়ে পেঁয়াজের স্বাভাবিক দাম পাবো বলে আশায় বুক বেঁধে পেঁয়াজের চাষবাদ করছি। কন্দ পিঁয়াজ জমি থেকে উঠতে শুরু হয়েছে।

এ ব্যপারে কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জনি বলেন ৫০০ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে ও চলছে এবং উৎপাদনের লক্ষমাত্রা (৫,৫০০) পাঁচ হাজার পাঁচশত মেট্রিকটন ও হেক্টর প্রতি সাড়ে দশ মেট্রিকটন। নতুন প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে সার, বীজ, বালাই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছি। ব্লক পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top