হাঁড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশা

উপেক্ষা করে রাজশাহীতে চলছে বোরো আবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২২ ০৫:৫১; আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০২২ ০৫:৫২

শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে চলছে বোরো আবাদ। বীজ-চারা উঠানোও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করতে ব্যস্ত কৃষকরা

হাঁড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে রাজশাহী অঞ্চলে চলছে বোরো আবাদ। কৃষকদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি শীত আর ঘন কুয়াশা। ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এবার কৃষকরা উৎসাহ উদ্দীপনায় বোরো আবাদ শুরু করেছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ-চারা উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা। গত মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও দামা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে।

এদিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ উপজেলার কৃষকেরা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল কিংবা জৈব সার প্রয়োগে ব্যস্ত। কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পাম্পের বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন ক্ষেতে। গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৪ হাজার ৮শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৬শ” ৮০ হেক্টর ও উফশী জাতের ১৪ হাজার ২শ” হেক্টর। গত বছর উপজেলায় ১৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিলো।

কৃষি অফিস আরো জানায়, এ উপজেলার কৃষকেরা উফশী জাতের ধান চাষে অভ্যাস্ত। তাই উফশী জাতের লক্ষ্যমাত্রা বেশী। তবে চলতি বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবাদী জমির পাশাপাশি পদ্মা নদিতে জেগে উঠা চরে পদ্মা পাড়ের কৃষকেরা শুরু করেছে বোরো আবাদ। উপজেলার লালপুকুর গ্রামের মিন্টু বলেন, বিগত বছর গুলোতে ধানের নায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুণতে হয়েছে আমাদের। তবে গত বছর থেকে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় ধান চাষ করে আমরা লাভবান হয়েছি। সেই আশায় পুরোদমে আবার বোরো আবাদ শুরু করে দিয়েছি। এবার ৭ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি।

পদ্মা পাড়ের কৃষক জুয়েল বলেন, পদ্মায় জেগে উঠা পলিমাটিতে বোরো আবাদে সার ও কিটনাশক কম লাগে। সেচের জন্য পানির সমস্যা হয় না। পদ্মা নদীর পানি থেকে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। এতে করে জেগে উঠা পদ্মার চরে বোরো আবাদে তুলনা মুলক খরচ কম হয়।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, কৃষকরা ধানের দাম ভালো পাওয়ায় বোরো আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এ উপজেলায় সরিষা ও টমেটোর আবাদ বেশী হয়। কুষকরা টমেটো ও সরিষা তোলার পর বোরো ধান আবাদ করে। এখন কিছু কিছু জমিতে বোরো ধান লাগনো শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারীর ১ম সপ্তাহে চুড়ান্ত হবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top