সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন গ্রামে রোজা পালন

ডেক্স রির্পোট | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২ ১৪:২৩; আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩২

ফাইল ছবি

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ শনিবার থেকে পবিত্র রোজা পালন করছেন। শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশালসহ দেশের বেশ কিছু গ্রামের মানুষ শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়েন এবং শনিবার ভোর রাতে সেহরি খেয়ে তারপর পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।

মৌলভীবাজার: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পবিত্র রোজা পালন করছেন। শতাধিক পরিবারের সদস্যরা পবিত্র রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শনিবার থেকে শুরু করেছেন।

শুক্রবার রাতে তারা তারাবির নামাজও পড়েন এবং শনিবার ভোর রাতে সেহরি খেয়ে তারপর পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন।

জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌর শহরের সার্কিটহাউসের পেছনের একটি জায়গায় স্থানীয়ভাবে পীর হিসেবে পরিচিত আবদুল মাওফিক নামে একজনের খানকা রয়েছে। তিনি ও তার অনুসারীরা গত বেশ কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন শুরু করেন এবং দুই ঈদের জামাত আদায় করেন।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার (আবদুল মাওফিকের অনুসারী) শতাধিক পরিবারের সদস্যরা রোজা পালন শুরু করেছেন বলে জানা যায়।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, সন্দ্বীপ, হাটহাজারীর বিভিন্ন গ্রামে শনিবার থেকে রোজা পালন করছেন বিভিন্ন পীরের অনুসারীরা। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা মির্জারখীল ও জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি দরবার শরীফের মুরিদরা একইসঙ্গে রোজা পালন শুরু করেছে।

গত শুক্রবার রাতে তারাবি ও সেহেরির মধ্য দিয়ে রোজা শুরু করছেন তারা।
সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবারের অনুসারীরা প্রতিবছরের মতো এবারো সৌদিআরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন শুরু করেছেন। দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ধারণা এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে রোজা, ঈদ পালন করে আসছেন।

চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর সাংবাদিকদের জানান, আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান জেনে মক্কা ও মদিনা শরীফে তথা আরব বিশ্ব বা মধ্যপ্রাচ্যের চাঁদ দেখার খবর পেয়ে শনিবার তাদের প্রথম রোজা পালন শুরু করেছেন।

চাঁদপুর : সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা পবিত্র মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তারা তারাবির নামাজ পড়েছেন। শনিবার ভোর রাতে সেহরি খেয়ে তারপর পবিত্র রোজা পালন শুরু করেছেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারীরা বিগত ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এই রমজান এবং দুটি ঈদ পালন করে আসছেন।

ফরিদগঞ্জ টোরা মুন্সিরহাটের আনোয়ার হোসেন মামুন মুন্সি জানান, নির্ধারিত সময় এশার নামাজ আদায়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রমজান পালন করার সংবাদ পান তারা। ফলে এই মতের অনুসারীরা প্রত্যেকে ঘরে ঘরে তারাবির নামাজ আদায় করেন। তবে ভোর রাতে সেহরি খেয়ে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেছেন তারা।

ব‌রিশাল ব্যুরো : বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় রোজা পালন শুরু হয়েছে। ওই সব এলাকার মুসুল্লিরা শুক্রবার এশার নামাজের পর থেকে তারাবীহ নামায আদায় শুরু করেছেন।

বরিশালের ২০ গ্ৰামে প্রায় ৩ হাজার পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শনিবার থেকে রোজা পালন শুরু করেছেন। সৌদি আরবে শুক্রবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে শনিবার থেকে সেখানে রোজা পালন শুরু হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার এলাহাবাদ দরবার শরিফের অনুসারীরা বরাবর সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগাম রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করেন।

বরিশাল নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড টিয়াখালির বাসিন্দা নাসির চৌধুরী জানান, তারা বরাবরই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করেন।

এদিকে জেলার বাবুগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও মুলাদীসহ বেশ কিছু এলাকায় সৌদির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগাম রোজা পালন শুরু হয়।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top