করলা চাষে উৎসাহী হচ্ছেন বরেন্দ্রের চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২ ০৫:১৪; আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:১৯

শস্যভান্ডার খ্যাত রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল গোদাগাড়িতে করলা চাষে উৎসাহী হচ্ছেন কৃষকরা। উপযুক্ত দাম পাওয়াতে বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি চাষ হচ্ছে করলা। যার কারণে বিগত সময়গুলোর চাইতে এবার বেড়েছে করোলা চাষের জমির পরিমাণ।

মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় সবজি হচ্ছে করলা। যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সবজি। স্বাদে তিক্ত হলেও বাংলাদেশের সকলের নিকট এটি প্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত। ১০০ গ্রাম খাবার যোগ্য করলায় ১.৫-২.০ ভাগ আমিষ, ২০-২৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৮-২.০ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ৮৮.৯৬ মিলিগ্রাম খাদ্যপ্রাণ সি আছে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করলা ভাল জন্মে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পরাগায়ন বিঘ্নিত হতে পারে। সব রকম মাটিতেই করলার চাষ করা যেতে পারে। জৈব সার সমৃদ্ধ দো-আঁশ বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভাল জন্মে।

গোদাগাড়ি উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবার ৪০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হচ্ছে। কাঁকনহাট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, গোদাগাড়িতে বিভিন্ন জাতের করলা চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে বারি করলা-১ ও গজ করলা অন্যতম। এসব করলার মোট জীবনকাল প্রায় চার থেকে সারে চার মাস। তবে জাত ও আবহাওয়াভেদে কোন কোন সময় কম বেশী হতে পারে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোন সময় করলার বীজ বোনা যায়। কেউ কেউ জানুয়ারী মাসেও বীজ বুনে থাকেন। কিন্তু এ সময় তাপমাত্রা কম থাকায় গাছ দ্রুত বাড়তে পারে না। ফলে আগাম ফসল উৎপাদনে তেমন সুবিধা হয় না। করলা ও উচ্ছের জন্য হেক্টর প্রতি যথাক্রমে ৬ থেকে সাড়ে ৭ কেজি ও ৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। করোলা উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে হেক্টর প্রতি ফলন যথাক্রমে ৭-১০ টন, যা শতাংশে ৩০-৪০ কেজি পাওয়া যায়।

গোদাগাড়ির মান্ডইল করলা চাষী মঞ্জুর রহমান বাবু বলেন, তিনি মান্ডইল রামদাসপাড়া মাঠে ৬কাঠা জমিতে করলার চাষ করেছেন। চারা রোপনের পর ৪০দিনের মধ্যে তিনি তার জমি থেকে করলা উত্তোলন শুরু করেছেন। তার এই ৬কাঠা জমিতে এ পর্যন্ত পনের হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম চালানে তের হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এর পরে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন তিনি করলা উত্তোলন করেন। সপ্তাহে তিনি ৫ থেকে ৬হাজার টাকা বিক্রি করছেন। এভাবে ৫ থেকে ৬মাস পর্যন্ত করলা উত্তোলন করা যায়। এভাবে চলতে থাকলে তিনি ভাল লাভবান হবেন বলে জানান কৃষক বাবু। এই মৌসুমে ফলন ভাল হলে আগামী বছরে তিনি আরো বেশি করে করলার চাষ করবেন বলে জানান তিনি।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top