চিনির হঠাৎ রেকর্ড দাম, অ্যাকশনে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার

চিনির হঠাৎ রেকর্ড দাম, অ্যাকশনে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ০৬:০৭; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১২:৫৪

ফাইল ছবি

চাল, তেল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেশি দামে মানুষ যখন নাজুক অবস্থায় পড়েছে তখন হঠাৎ করে আগের চেয়ে বেশ বেড়ে গেছে চিনির দাম। কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে পণ্যটির দাম। বস্তায় বেড়েছে হাজার টাকারও বেশি। তবে এমন দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক বলে এর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

প্যাকেটজাত চিনির সরকার নির্ধারিত দাম কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা। গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাতের দাম ৯৫ টাকায় বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি।

এবার লাভের আশায় অনেকে প্যাকেট খুলে খোলা চিনি হিসেবে বেঁচে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে চিনির বাজারের এমন অবস্থায় গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) থেকে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে বিশেষ অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যা চলমান থাকবে বলে জানা গেছে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করায় জরিমানা করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হঠাৎ করে চিনি এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ। সরকার দাম ঠিক করে দেওয়ার পরও কয়দিনের মধ্যে কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তিন থেকে চার দিন আগে চিনি কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা দামে বিক্রি করলেও এখন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ বস্তা প্রতি চিনির দাম এক হাজার ৫০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে চিনির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সংস্থাটি জানিয়েছে, রোববার (২৩ অক্টোবর) ২০২২* সকাল সাড়ে দশটায় কারওয়ান বাজার ব‍্যবসায়ী সমিতি ও দুপুর ২টায় টায় মৌলভীবাজার ব‍্যবসায়ী সমিতির অফিস কক্ষে চিনিসহ নিত‍্যপণ‍্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ‍্যে দুটি বৈঠক করবে ভোক্তা অধিকার।

এতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব ) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান উপস্থিত থাকবেন।

মৌলভীবাজারের পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল (রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান) থেকে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী চিনি দেওয়া হচ্ছে না। আর দামও রাখা হচ্ছে বেশি। তাতে সরকার নির্ধারিত দামে কোনোভাবেই চিনি বিক্রি করা সম্ভব নয়।

কেউ কেউ চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু মিল থেকে চিনি সরবরাহ ঠিক আছে বলে জানিয়েছেন মেঘনা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক এস এম মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, মিল থেকে খোলা চিনি সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top