ফুডপান্ডার ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি  

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২২; আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ১৫:১৯

অনলাইনে অর্ডার করা খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বুধবার ভ্যাট গোয়েন্দারা এ মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযানে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গত ১৫ অক্টোবর ভ্যাট গোয়েন্দাদের একটি দল প্রতিষ্ঠানটির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন্নাহার কায়সার ও সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দীন এতে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ হাজার ফুডস্টোর থেকে খাবার সংগ্রহ করে বাইকারদের মাধ্যমে ভোক্তার কাছে সরবরাহ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফুডপান্ডার চুক্তি রয়েছে, যার আওতায় ফুডপান্ডা কমিশন পায়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাটের নথিপত্র ও কম্পিউটার তল্লাশি করেন। এতে কিছু গোপন তথ্য পাওয়া যায়। গোয়েন্দারা এ তথ্যসহ আরও কিছু বাণিজ্যিক দলিল জব্দ করেন। ভ্যাট সংক্রান্ত নথি বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, ফুডপান্ডা তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন নিয়েছে। এতে তারা বাড়ি ভাড়ার ওপর ভ্যাট দিচ্ছে না। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ব্যবসার সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান সঙ্গতিপূর্ণ নয়।


প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার থেকে জব্দকৃত তথ্য অনুযায়ী গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং গত এপ্রিল মাসে মোট ২৭ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট রিটার্নে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি দেখিয়েছে। এই আট মাসে প্রতিষ্ঠানটি ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে। এতে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ৫৩ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া দাখিলপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি লিমিটেড কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও পণ্য কেনায় কোনো উৎসে ভ্যাট পরিশোধ করেনি।

এতে সোয়া কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ফলে ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড পণ্য কেনা, বাড়ি ভাড়া ও উৎসে করে মোট ২ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এর সুদ আরও এক কোটি ৫ লাখ টাকা। ভুল সেবা কোড ব্যবহার, বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন এবং উৎসে ভ্যাট না দেওয়ায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top