নিজের তৈরি নামও পাল্টাতে হবে হিরো আলমকে
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২ ০৬:৩২; আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৪২
ইউটিউব ও ফেসবুকের ভাইরাল মুখ আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, পল্লীগীতিসহ যেকোনো গান বিকৃত করে না গাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত বুধবার ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। হিরো আলমও তাতে সম্মতি জানিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
তবে শুধু গান বিকৃত নয়, হিরো আলমকে নামের সঙ্গে ‘হিরো’ না লাগানোর নির্দেশও নাকি দেওয়া হয়েছে ডিবি কার্যালয় থেকে। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিরো আলমই এমন অভিযোগ করেছেন।
গান বিকৃতির প্রসঙ্গ নিয়ে আলম বলেন, ‘যেহেতু এটা নিয়ে সবখানেই সমালোচনা। আমি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, পল্লীগীতি গাইলে যেহেতু সবারই সমস্যা। পুলিশকে বলছি, ঠিক আছে এ ধরনের গান আমি আর গাইব না। আমি যে একেবারে গান গাইব না, তা বলি নাই। তাদের (রবীন্দ্র-নজরুল) গান না গাইলে সমস্যা কী?’
‘হিরো’ নাম পাল্টানো নিয়ে তার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে উল্লেখ করে আলম বলেন, ‘তারা (পুলিশ) আমাকে বলে, তোর চেহারা কি আয়নায় দেখছিস? তুই নিজেকে হিরো দাবি করিস! তুই আজকের পর থেকে তোর ‘হিরো’ নাম পাল্টাবি। শুধু আলম বলে পরিচয় দিবি। তোর জন্য বাইরের দেশে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তুই জানিস ‘হিরো’ শব্দের মানে কী। তুই সিনেমা দেখিস নাই হিরো কাকে বলে।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমি অভিনয়ও করব, গানও করব। তবে পল্লীগীতি, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত- এই সমস্ত যা আছে, সেগুলো আমি গাইব না।’ আক্ষেপ করে আলম বলেন, ‘আপনারা খালি খারাপ কাজগুলাই আমার সামনে তুলে ধরলেন। কেন, আমি কি দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছুই করি নাই। তারা যে বলে তুমি গান গাওয়া ছেড়ে দাও, অভিনয় ছেড়ে দাও, নাম চেঞ্জ করো। এখান থেকে রোজগার করেই তো আমি মানুষের পাশে দাঁড়াই।’
হিরো আলমের গান বিকৃত করার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, প্রত্যেকেরই গান গাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু কোনো গানকে বিকৃত করার অধিকার কারও নাই। আপনি রবীন্দ্রসংগীত গান আর পল্লীগতি গান, প্রত্যেকটার তাল-লয় আছে। এখন আপনি তাল ছাইড়া দিয়া যদি আরেক তালে গান, এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি পরোক্ষভাবে নষ্ট করে দেওয়ার একটা নামান্তর। আমি মনে করি, বাংলাদেশের কালচার, গান বাজনার সংস্কৃতিকে কেউ নষ্ট করতে পারে না। সে (হিরো আলম) স্বীকার করেছে যে, আমি এগুলো আর করব না।’
বগুড়ার ডিশ ব্যবসায়ী হিরো আলম নিজ অর্থে বিভিন্ন ফানি কন্টেন্ট বানিয়ে তা ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করে পরিচিতি পান। সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। এছাড়া একটি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন। দাঁড়িয়েছিলেন সংসদ নির্বাচনেও। এসব নানা কারণে তিনি ভাইরাল। কয়েক মাস ধরে তিনি আলোচনায় বিভিন্ন শিল্পীর গান নিজের গলায় গেয়ে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: