ঘুষের মামলায় দণ্ডিত বাছিরের জামিন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২ ০৬:০০; আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০৪

ছবি : সংগৃহীত

ঘুষ লেনদেনের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার তাঁকে জামিনের আদেশ দেন।

ওই মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত পৃথক দুটি ধারায় এনামুল বাছিরকে (পাঁচ বছর ও তিন বছর) মোট আট বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে এক ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এনামুল বাছির আপিল করেন, যা গত ১৩ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিতের পাশাপাশি নথি তলব করা হয়। এরপর জামিন চেয়ে আবেদন করেন বাছির, যার ওপর আজ শুনানি হয়। আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও চৌধুরী নাসিমা শুনানিতে অংশ নেন।

আপাতত আর কোনো মামলা না থাকায় বাছিরের মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানান বাছিরের আইনজীবী ফারুক আলমগীর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাছিরকে পৃথক দুটি ধারায় তিন ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। রায়ে উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বলা হয়। এ হিসাবে এনামুল বাছিরের কারাভোগের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই থেকে বাছির কারাগারে আছেন। কারাবিধির হিসাব অনুযায়ী, তিনি প্রায় চার বছর কারাগারে আছেন। বাছির অসুস্থ এবং তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকার দিকটি জামিনের যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, বাছিরের জামিনের বিষয়টি দুদককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দুদকের অভিপ্রায় অনুসারে আপিল বিভাগে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুরের কাছ থেকে বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাছির কমিশনের দায়িত্বে থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি মিজানুরকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top