মাহফুজুর রহমান আখন্দ

বিজয়ের উচ্ছ্বাসে পদ্মার চরে

নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০৭; আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১৮

ছবি সংগৃহীত: মাহফুজুর রহমান আখন্দ

পদ্মায় আনন্দ ভ্রমণের কথাটা হঠাৎ করেই উত্থাপন করলেন ড. ফজলুল হক তুহিন। ২৫ নভেম্বর পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের ২১১তম সাহিত্য আসর ‘হেমন্তের সাহিত্যপাঠ’ অনুষ্ঠানেতিনি কথাটি বললেন। বললেন, এবারের বিজয় দিবসের খিচুড়ির আয়োজন পদ্মার চরে করা হোক। প্রস্তাবনা শুনে লেখকরাও উজ্জীবিত।

আমি সমাপনী কথায় তাঁদের প্রস্তাবনায় সায় দিলাম। বিজয়ের মাস। প্রচুর ব্যস্ততা। অনেক ফরমায়েশী লেখা। বিজয়ের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানামুখি ব্যস্ততা। সময় মিলানো যাচ্ছে না। অবশেষে ১০ তারিখ বেছে নিলাম। দশ তারিখ মানে ১০ ডিসেম্বর। ৪ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে প্রথম গ্রুপে মতামত পেশ করলাম। আলহামদুল্লিাহ। অভাবনীয় সাড়া। অবশেষে প্রস্তুতি চলতে থাকলো। ড. ফজলুল হক তুহিন, কবি আসাদুল্লাহ মামুন সেলিম, ড. সায়ীদ ওয়াকিল এবং কবি এরফান আলী এনাফকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয়া হলো।

দিনক্ষণ এগিয়ে গেলো দ্রুত। গ্রুপের তৎপরতা, মোবাইল ফোনের যোগাযোগ, ব্যক্তিগতভাবে দেখা-সাক্ষাৎ। সবকিছু গুছিয়ে নেয়া হলো একদিন আগেই। শুক্রবারে বাজারঘাট সেরে ফেলা হলো। অংশগ্রহণ তালিকা বৃদ্ধি হতেই চললো। অপারেশনজনিত কারণে পরিচয়ের প্রধান উপদেষ্টা কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ যেতে পারলেন না। সফলতা কামনা করে তিনি মনোকষ্টের কথা প্রকাশ করলেন গ্রুপে। অন্যতম উপদেষ্টা জাইদুর রহমান হার্টের অসুস্থতা জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায়তাঁকেও মিস করলাম আমরা। অন্যতম উপদেষ্টা সরদার আবদুর রহমান ও কবি সায়ীদ আবুবকর, সহসভাপতি ড. আবু নোমান, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ মামুনও শারীরিক কারণে অবশেষে যাত্রাবিরতি দিলেন। তবুও পদ্মায় আনন্দ ভ্রমণকে সফল করার জন্য আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকলাম। সাহায্য চাইলাম মহান আল্লাহর কাছে।

সকল সাড়ে আটটায় তালাইমারী বালুরঘাট থেকে নৌকা ছাড়ার সময় দেয়া হয়েছে। কে কে যাচ্ছেন, যেতে পারছেন না এই নিয়ে বেশ পেরেশানীতে কাটলো রাতটা। তার উপরে দুই সেশনে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার খেলা। আমার বাসার সামনেই বড়পর্দায় খেলার আয়োজন। হৈহুল্লোর আর বাঁশির উৎসবে ঘুমের সাড়ে বারোটা। তবুও উঠতে হলো সকাল সকাল।

ফজরের পর থেকে আবারো যোগাযোগ। সবকিছু ঠিকঠাক রাখার প্রয়াস। আমার তিনি, মানে মিসেস নাজমা আখন্দকেও সাথে নেবো। তাই তিনিও প্রস্তৃতি নিচ্ছেন সকাল থেকে। ছেলে-মেয়ের পরীক্ষা এবং কোচিং থাকায় তাদেরকে রেখেই যেতে হবে। আমাদের নাস্তা, ওদের সারাদিনের খাবার রান্না। পৌনে আটটার মধ্যে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়া। অনেকটা চাপই বটে। তবুও সবকিছু সুন্দরভাবে সেরে বেরিয়ে পড়লাম।

আমরা রাস্তায় থাকতেই ফোন দিলেন পরিচয়ের অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক সভাপতি গল্পকার দেওয়ান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। বললেন, মাহফুজ ভাই কোথায়! কাউকে দেখছি না যে। বললাম, একটু দাঁড়ান আসছি ভাই। সাড়ে আটটার মধ্যে সবাই আসবে ইনশাআল্লাহ। সময় মতো হাজির হলাম। দেখছি পঞ্চাশের উপরে উপস্থিতি।

অর্থ সংগ্রহের জন্য তালিকা ধরিয়ে দিলাম ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপনের হাতে। নির্ধারিত চাদার পাশাপাশি অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। অনেকেই ফোন দিচ্ছেন রাস্তায় আছেন বলে। দেখলাম, তালিকার বইরে বেশ কয়েকজন হাজির। টার্গেট ছিলো পঞ্চাশ, সেখান থেকে সত্তর. অবশেষ একশো ছুঁই ছুঁই। কবি ফারহানা শরমিন জেনী বললেন, মাহফুজ ভাই দ্রুত আরো একটি নৌকা ঠিক করেন, খরচা লাগলে আমরা তো আছি। যেই কথা সেই কাজ। নৌকা কল করা হলো। আসতে কিছুটা দেরি। এই ফাঁকে কথা হলো ড. আমিন বিশ্বাসের সাথে। বললেন, শরীরটা খুব খারাপ। কিন্তু যেতে ইচ্ছে করছে। একটু অপেক্ষা করলে আমিও যেতাম। তাঁকে আসতে বললাম। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বিজিবি ক্যাম্পে গেলাম কথা বলার জন্য। বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ আবদুর রহমান সাহেব বললেন, স্যার এখন পানি কমে গেছে। খানপুর চরে যেতে হলে আপনাকে ভারতের নদীসীমার ভেতর দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এটা খুব রিস্ক হবে। আপনি ওখানে না গিয়ে মাজারদিয়াড় দশ নাম্বার চরে চলে যান। ওখানকার কমান্ডার মানিক সাহেবকে আমি ফোন করে দিচ্ছি। সহযোহিতা করবে।

পরামর্শ করলাম আমাদের মধ্যে। খানপুর চরের অধিবাসী নওশাদ আমাদের রাহবার। ওর মনটা খারাপ হয়ে গেলো। বললো, স্যার আপনারা যাবেন বলে আমি ওখানে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি। দশ নাম্বার চরে তো বাড়িঘর খুব বেশি নেই। বাথরুম সমস্যা হবে। কিন্তু কী আর করার! অবশেষে মাজারদিয়াড় দশ নাম্বার চরেই নৌকা ভিড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম।

পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের উপদেষ্টা গল্পকার দেওয়ান মোহাম্মদ শামসুজ্জামানকে পুরো আয়োজনের সভাপতি হিসেবে ঘোষনা দেয়া হলো। তাঁর নেতৃত্বেই দশটা দশমিনিটে শুরু হলো আমাদের যাত্রা। সবাই খুব এক্সাইডেট। নৌকার চলার গতির সাথে গানের সুর যেনো মাতিয়ে তুললো এ আনন্দ ভ্রমণকে। দুধারে নানা দৃশ্যে সকলেই বেশ উজ্জীবিত। নতুন নতুন পাখি। চখাচখির উড়াউড়ি। ছোটোখাটো নতুন চর। চরের ওপারে ছোটো কুড়েঘর। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ মজার পরিবেশ তৈরি হলো।

একঘন্টা দশ মিনিট পরে আমরা পৌঁছে গেলাম দশ নাম্বার চরে। তীরে নৌকা না ভিড়তে আনন্দে লাফিয়ে নামতে গেলো আমাদের শিশুশিল্পী মুজাহিদ। কাদায় ডুবে গেলো হাঁটু অবধি। বাঁশ দিয়ে টেনে তোলার কসরত চললো বেশ কিছুক্ষণ ধরে। উৎকণ্ঠা জাগলেও বিষয়টি বেশ এনজয় করলো সবাই।

চরে নেমেই সবাই আনন্দে আত্মহারা। ছোটখাটে হরেক রকমের গাছ গাছালি। গোয়ালবাড়ির চারিধারে গোবর দিয়ে বানানো লাকড়ি শুকানো হচ্ছে। রাজশাহীর ভাষায় এটাকে নোন্দা বলে। আমিও নদীর কুল থেকেই ভিডিও শুরু করেছি। নোন্দার ভিডিও করতেই জনৈক ব্যক্তি তেড়ে আসলেন হাসুয়া হাতে। বিকট চিৎকারে সবাই হতভম্ব। আমি কাছে গিয়ে চুপি চুপি থামানোর চেষ্টা করলাম। তিনি আরো চিৎকার শুরু করলেন। গ্রামের বাড়ির খবর নিয়ে জানলাম মিজানের মোড়ে বাড়ি। আমার পরিচয়টাও দিলাম। তখন ঠান্ডা হলেন। গলা নামিয়ে নিলেন। জানা গেলো লোকটির মাথায় একটু সমস্যা আছে।

শুরুতেই পরিবেশকিছুটা গোলমেলে হয়ে গেলো। পানির অনুসন্ধানে আমরা সামনের দিকে হাঁটতে থাকলাম। হাড়ি-পাতিল, বাজার-সদাই, চেয়ার এবং ডেকোরেটরের জিনিসপত্র সবাই হাতে কাধে মাথায় করে নিয়ে যাত্রা। অন্যরকম এক দৃশ্য।প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে একটি নলকুপের সন্ধান মিললো। সেখানেই আমাদের রান্না বান্নার ব্যবস্থা করা হলো।

পুরো চর জুড়ে গোবর আর গোবর। যতগুলো বাড়ি চোখে পড়লো একটাতেও জনমানব নেই। সবগুলো বাথানবাড়ি। এসকল বাড়িতে কেউ থাকে না। মাঝে মাঝে দুএকটি ছইতোলা মাচাঙ দেখলাম। সেখানে রাতে কেউ কেউ ঘুমায়। কোন মহিলা এখানে রাত্রি যাপন করেন না। ফলে বাথরুম বা টয়লেটের বালাই নাই।

মহিলাদের নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এক বাড়িতে লোকের দেখা মিললো। তারা বললেন, এখানে পায়খানা ঘরের কোন ব্যবস্থা নেই। নলকুপ আছে। বালতি-বদনা আছে। আশেপাশে, আড়ালে আবডালে সেরে ফেলতে হবে। আমাদের অনুরোধে তারা একটা গোয়াল বাড়ির জায়গায় অস্থায়ী বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিলেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালাম। দাওয়াত দিলাম আমাদের সাথে খাওয়ার জন্য।
রান্নার প্রক্রিয়া শুরু হলো। সবাই কমবেশি ক্ষুধার্ত। আগে থেকেই মুড়িচক্রের প্রস্তুতি ছিলো। কবি ফারহানা শরমিন জেনী মুড়ি মাখানোর জন্য ছোলা, পিয়াজিসহ যাবতীয় কিছু বাসা থেকে বানিয়ে নিয়ে গেছেন। বিশাল হাঁড়িতে বেশি করে পিঁয়াজ মরিচ এবং আনুসাঙ্গিক বিষয় দিয়ে মুড়ি মাখানো হলো। দিনের বারোটার সময় ক্ষুধার্ত পেটে সেই মুড়ির স্বাদই আলাদা। আহ। বলাই বাহুল্য।

মড়িচক্রের পরেই শুরু হলো অনুষ্ঠানের কার্যক্রম। অনুষ্ঠানের জন্য সামিয়ানা টানানোর কোন ব্যবস্থা নেই। বাঁশ দিয়ে এক পার্শ্বে ঘিরিয়ে দেয়ার প্রয়াস চললো। রশি সংকট। ম্যাগগাইভারের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বনলতা দিয়ে রশি বানানো হলো। কবি জায়িদ হাসান জোহা আমাকে জিজ্ঞেস করলো, বনলতা সেন দুদ- শান্তি দিয়েছিলো কবি জীবনানন্দ দাশকে। আমাদের এই বনলতা কতক্ষণ শান্তি দেবে স্যার? ‘এটা মহান আল্লাহর অনুপম এক সৃষ্টি, যতক্ষণ চাও দেবে। একটুও কৃপণতা করবে না।’ আমি বললাম তাকে। ন্যাচারাল বিউটির মধ্যেই শুরু হলো আমাদের গান কবিতা এবং অভিনয়-আড্ডা।

জোহরের নামাজ আদায় করা হলো জামায়াতের সাথে। খিচুড়ির ধোঁয়া উড়ছে। উড়ছে গান-কবিতার সুরেলা বাতাস। উপস্থাপনার জন্য মাইক্রোফোনটা কেনো যেনো ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ’র হাতেই পড়ে। কি আর করার চালিয়ে নিলাম।গান কবিতা আর অভিনয়ের হাওয়ায় পাল উড়িয়ে দিলেন ড. আমিনুল ইসলাম, ড. ফজলুল হক তুহিন, ড. সায়ীদ ওয়াকিল, ড. মোহাম্মদ সাদিক,ড. মুর্শিদা খানম, এরফান আলী এনাফ, জামাল দ্বীন সুমন, সাবের রাহী, একেএম দৌলতুজ্জামান, আসাদুজ্জামান জুয়েল, হাসিনা বিশ্বাস, সোহেল মাহবুব, মঞ্জুর রাহী, মনির বেলাল, অধীন জাকির শাহ, এস এম শহীদুল্লাহ্, আবদুল মতিন, আখতার হোসেন, শোয়েব আলী, শেখ তৈমুর আলম, ইউসুফ বকুল, আবদুল ওয়াদুদ, হেলাল মাহফুজ, আমজাদ হোসেন, গোলাম মোর্শেদ, সরদার মুক্তার আলী, ফারহানা শরমিন জেনী, মঞ্জিলা শরীফ, হাসান আবাবিল, ডা. খালেদা আখতার বাবুনী,নাহিদা আকতার নদী, মোস্তাক আহমদ, তানিম আল আমিন,জুবাইর রহমান, কামাল উদ্দিন, মোস্তফা ফেরদৌস হাজরা, আবদুল্লাহ রিফাত, মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান, সুলতান, রাকিবা রাখি, বায়েজিদ হোসেন, যুবরাজ,হাসান আল বান্না, আবদুর রাজ্জাক রিপন, শওকত আরিফ, লমিয়া তাসনীম, আবু সাঈদ আল মামুন, জোবাইদা আকতার, ফরিদা পারভীন, কাকলী জামান, শফিকুল ইসলাম,ইমরান আজিম, ইমাম হাসান, সিফাত, মুজাহিদ ফয়সাল, জায়েদ হাসান জোহা, আমির হামজা, মমিনুর রহমান, এহসান আজাদ, সাদ, উসামা, আল মাহমুদ মুবিন, আবদুল হাদী, আল মারুফ, অমি,লাবন্য,তাসনীম দিলা, মিমি, রাফসান, মাহদীয়া প্রার্থনা, ইসমাম,নাজমা আখন্দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের স্বার্থে একটু বিলম্বেই মধ্যাহ্ন ভোজনের বিরতি হলো। চাল-ডালের সাথেআট-দশ রকমের সবজি এবং গরুর খোশত দিয়ে খিচুড়ি রান্না। সকলেই মুখেই একই কথা। পরিচয়ের খিচুড়ি বলে কথা। পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়া। সময় স্বল্পতার কারণে খাওয়ার পরেই আসরের জামায়াত আদায় করা হলো। আবারো শুরু হলো গান কথা কবিতা। পৌনে পাঁচটায় অনুষ্ঠানের সমাপনী হলো। লেখকদের কানের ভেতর একটি কথাই বাজিয়ে চললো, ‘আমরা আলোর জন্য লিখবো, ভালোর জন্য লিখবো। আমার লেখাই আমার কিয়ামতের দিনের পাথেও। ভালো হলে সেটা মুক্তির উসিলা হবে। স্থান মিলবে কবি হাসসান বিন সাবিত রা. এর সারিতে। মন্দ হলে জাহান্নামের পথে টেনে নেবে। জায়গা হবে কবি ইমরুল কায়েসেরে সারিতে।’

ফেরার পালা এবার। ক্লান্তির মাঝেও সকলের মুখে হাসি। সকলেই একে অপরের সহযোগী হচ্ছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো নৌকায় তুলতে কোন বেগ পেতে হলো না। তরুণদের উচ্ছ্বাস আর পরিণত ও সিনিয়র নাগরিকদের দায়িত্ববোধের তৎপরতা যার পর নাই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সন্ধ্যার কুয়াচ্ছন্ন নদীর বুক চিড়ে আমরা পাড়ের দিকে ভীড়তে থাকলাম। মাগরিবের নামাজটা নৌকাতে আদায় করা হলো। বিদায়ের সময় আনন্দের মাঝেও বিরহের সুর যেন সকলের হৃদয় বাঁশিতে।

লেখক: কবি ও গবেষক; প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতি, পরিচয় সংস্কৃতি সংসদ, রাজশাহী



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top