আজ কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:১৫; আপডেট: ৬ মে ২০২৪ ০৩:০১

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক জনপ্রিয় নাম তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এক বাঙালি কথাসাহিত্যিক তিনি। ১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এতেই বোঝা যায়, তার লেখনীর গুণগত মান কেমন ছিল। প্রখ্যাত এই লেখকের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান বিশিষ্ট বাঙালি এই কথাসাহিত্যিক।

ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের) অন্তর্গত বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে এক জমিদার পরিবারে ১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়। তাঁর পিতা ছিলেন হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা প্রভাবতী দেবী।

৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি ছোটোগল্প-সংকলন, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধ-সংকলন, ৪টি স্মৃতিকথা, ২টি ভ্রমণকাহিনি, একটি কাব্যগ্রন্থ এবং একটি প্রহসন রচনা করেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় বিশেষভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা।

তাঁর অনেক উপন্যাস ও ছোটোগল্প অবলম্বনে বাংলা ভাষায় একাধিক জনপ্রিয় ও সমালোচকেদের দ্বারা প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯১৬ সালে লাভপুরের যাদবলাল এইচ. ই. স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চশিক্ষার্থে কলকাতায় আসেন এবং প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ও পরে সাউথ সাবআর্বান কলেজে (অধুনা আশুতোষ কলেজ) ভর্তি হন। কিন্তু ভগ্নস্বাস্থ্য ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি লেখাপড়া সম্পূর্ণ করতে পারেননি।

তারাশঙ্কর আরোগ্য নিকেতন উপন্যাসের জন্য ১৯৫৫ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার, ১৯৫৬ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার এবং ১৯৬৭ সালে গণদেবতা উপন্যাসের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী এবং ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ সম্মান অর্জন করেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top