কবি আব্দুল মতিনের কবিতা
কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন
সাহিত্য পাতা | প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:১৬; আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:৩৫

চলতে চলতে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত একলা পথিক
জেগে উঠে হাতছানি দেয়া ইচ্ছে
চুপসে যাচ্ছে নয়ন পাতা
দুর থেকে ধুমকেতু উঁকি দিচ্ছে।
আজ বড্ড পরিশ্রান্ত পথিক,
তার সাথে লুকোচুরি খেলছে যেনো পথ।
নীল জলরাশি উপচে পড়ে অঙ্গে
শিহরণ লাগছে, আঁড়ালে যত মত।
পদদলিত ধূসর বিষণ্ণতা একাকীত্বের ছায়ায়
হঠাৎ সমুখে বিজলী বাতি।
সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে
উচ্ছ্বসিত রূপ, প্রস্থান আজ রাতি।
যে সিঁড়ি ছিল পিচ্ছিল, ঝাপসা
সোনালী রঙে আজ ঝলমলে।
নর্দমায় যে শঙ্কিত প্রাণ খুঁজে মুক্তি
স্বচ্ছ ধবল সলিলে তা টলটলে।
তুমি দর্পণ নাকি মরীচিকা!
তোমার মাঝে হারিয়ে ফেলি নিজেকে
মধ্য রাতে কুড়িয়ে পাওয়া অমূল্য রত্ন।
আসক্তির বন্ধনে এসেছ ঝুমুর পায়ে
তাইতো লুকিয়ে রেখেছি, করেছি যত্ন।
তুমি আমার পরশ পাথর!
যেখানে তাকাই দেখি তোমার ছায়া
নিসর্গ অনূভুতি কখনই ছাড়েনা কায়া।
ঝিনুকের মাঝে কিংবা সিন্ধু তলে
অবনী আর নীলকণ্ঠ পাখির ঠোঁটে।
দিবা নিশি আগলে রেখেছি সযত্নে
কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন সবার নসিবে জোটে?
তবুও তারই আশায় কত ডুবুরির
সলিলসমাধি ঘটে অঘাটে।
তুমি পরিব্রাজকের ভিক্ষাসম অমূল্য মুল্য ধরো
তোমাতে অবহেলে।
আমি আজীবন কুড়ানী হয়ে
তোমাকেই কুড়িয়ে যাবো
কুড়িয়ে যাবো অমূল্য রতন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: