আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনে

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নিয়োগ কঠিন করেছে সরকার। এখন থেকে পরিচালক হতে হলে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। খবর শেয়ার বিজের।

গতকাল নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত দিয়ে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিচালক নির্বাচন বা মনোনয়নের পর নিযুক্তি বা পদায়ন বা পুনঃনিযুক্তি বা পুনঃপদায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। এ রূপে নিযুক্ত, পুনঃনিযুক্ত বা পদায়নকৃত পরিচালককে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া, বরখাস্ত বা অপসারণ করা যাবে না। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিধান অনুযায়ী, ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে হবে। অন্যূন ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হবে না।

এতে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকা অবস্থায় তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যার কোনো পৃথক সত্তা নেই তার পক্ষে আর কোনো পরিচালক ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে নিযুক্ত হতে পারবেন না।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বহিঃহিসাব নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, পরামর্শক, বেতনভুক্ত কর্মচারী বা অন্য কোনো পদের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন কিংবা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে নিয়োজিত ছিলেন এরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে নিযুক্ত হতে পারবেন না।

‘আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদের মেয়াদ হবে অনধিক তিন বছর এবং কোনো পরিচালক একাদিক্রমে তিন মেয়াদের বেশি ওই পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তবে একাদিক্রমে তিন মেয়াদে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর পর তিনি পরিচালক পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন।’ তবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ হাইকোর্ট কর্তৃক পুনঃগঠিত হওয়ায় উপরোক্ত বিধান তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মূল খবরের লিঙ্ক