কুড়িগ্রামে এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ৫ শিক্ষক বরখাস্ত

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০১; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৫

 

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, চারজন সহকারী শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে কয়েক বছর থেকে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কার্যক্রম চলছিল। তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম রাসেল, ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা যুবায়ের হোসেন, সোহেল রানা, হামিদুর রহমান, অফিস সহকারী সুজন মিয়া ও অফিস সহকারী আবু হানিফ।

সাতজনের মধ্যে ছয়জনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একজন এখনো পলাতক আছেন।

শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাস করানোর নামে সেখানেই কোচিং সেন্টার গড়ে তোলে শিক্ষকদের এই সিন্ডিকেট। শতভাগ এ প্লাস পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে করা হতো প্রশ্ন ফাঁস।

  • সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রশ্ন ফাঁসের কারণে গত পাঁচ বছরে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রেজাল্ট আশানুরূপ ভালো হয়ে যায়। গত বছরেও ১৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পায় এই স্কুল থেকে।

স্থানীয় সাংবাদিক এমদাদুল হক মন্টু বলেন, নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং করানো হতো। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন দেওয়া হতো তাদের কাছে। এই কেন্দ্রে যে অন্যন্য স্কুলের পরীক্ষা হতো তাদেরকেও প্রশ্ন দিয়ে সহায়তা করতো তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে আমার যেটা মনে হয় প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল পরিবারের লোক ছিলেন না। লুৎফর রহমানের শ্বশুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। শ্বশুরের সহযোগিতায় হামিদা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগ পান লুৎফর রহমান। পরবর্তীতে সেখানে শিক্ষকতা বাদ দিয়ে ২০১৩ সালে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির লোকজনকে নিজের আয়ত্তে এনে হয়ে যান প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫-৬ বছর থেকে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো কাজ করতেন। কারণ দেখা গেছে ৫-৬ বছরে অন্যান্য সকল স্কুলের চেয়ে তাদের স্কুলের রেজাল্ট ভালো। কিন্তু তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা কিন্তু প্রতিবছর মেডিকেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রে যারা জড়িত আছে আমরা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top