কলেজ প্রশাসনের তদারকির ঘাটতিকেই দুষলেন কমিটি

এমসি কলেজে ধর্ষণ: তদন্ত কমিটির ছয় সুপারিশ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২০ ১৬:২০; আপডেট: ২ অক্টোবর ২০২০ ১৬:২১

ফাইল ছবি

দেশে ঘটে গেল এক লোমহর্ষক ঘটনা। সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী।

এই ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়, এমসি কলেজ পরিচালনায় কর্তৃপক্ষের তদারকির ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মতৎপর ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসে অপর্যাপ্ত সীমানাপ্রাচীর ও জনবলের অভাবের কারণেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ত্রুটি রয়েছে।

গত ২৮ তারিখ মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করে দেয়া তদন্ত কমিটি ঘটনার পর কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে।

কলেজ প্রশাসনের তদারকির প্রশ্ন প্রতিবেদনে উঠে আসলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ করা হয় নি। তদন্ত কমিটি বলছে, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বাকি যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে– নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাসে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাতি স্থাপন ও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়মিত পরিদর্শন করা।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বামীসহ কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে গেলে কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল হাসান (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর-জাগোনিউজ

  • এসএইচ

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top