কাস্টমসের স্বর্ণ গায়েব, চার সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৯; আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ০৭:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে ৫৫ কেজির বেশি সোনা চুরির ঘটনায় দায়িত্বে থাকা চার সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে এ ঘটনায় রোববার রাতে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ওসি বিএম ফরমান আলী।

তিনি বলেন, কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় আমরা চারজন সিপাহিকে জিজ্ঞাসাবা করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে আগামীকালও সময় লাগতে পারে।

বিমানবন্দর থানার ওসি আরও বলেন, তারা কি বলেছে এটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। তারা যা বলছে সেগুলো আরও ক্রস চেক করা হবে। কাস্টমসের ঊর্ধ্বতনরাও বিষয়গুলো যাচাই করবেন। তদন্তের স্বার্থে কাস্টমসের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

জানা গেছে, এ ঘটনায় কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে রোববার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুদাম ইনচার্জও আছেন। বাকীদের অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। মামলাটি তদন্তে মাঠে নেমেছে সিআইডি।

কাস্টমসের কর্মকর্তারা বলছেন, গেল শুক্রবার অথবা শনিবার এই দুই দিন দুই দফায় স্বর্ণগুলো চুরি করা হয়েছে। তবে এ কাজে গুদামের সংশ্লিষ্টরা জড়িত না থাকলে চুরি সম্ভব না।

কাস্টমস লকার থেকে ৫৫ কেজি সোনা গায়েবের ঘটনায় মামলা

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সোনা চুরির চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে শনিবার। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর)। এ ঘটনায় শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ বলেন, বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এজন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এজহার থেকে জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার জানতে পারেন গুদাম থেকে প্রায় ১৫ কেজি সোনা গায়েব হয়েছে। পরে গুদামে থাকা সোনার হিসাব করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি প্রাথমিকভাবে ৫৫ কেজিরও বেশি সোনা গায়েব হওয়ার সত্যতা পেয়েছেন।

আরও জানা যায়, গুদামে আনুমানিক ২০০ কেজির বেশি সোনা ছিল। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া সোনা থেকে ৫৫ কেজিরও বেশি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে কাস্টম বিমানবন্দরে তোলপাড় চলছে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top