হাসিনা তার প্রভুর কাছেই আশ্রয় নিয়েছে: মাহমুদুর রহমান
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৬; আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৩
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, "এক অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৬ বছর ধরে আমাদের কাঁধে চেপে বসা জালেমশাহীর পতন ঘটেছে। বাংলাদেশের এই স্বৈরাচার সরকার ছিলো একটি দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী সরকার। এই স্বৈরাচার সরকার সরাসরি দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়েছে।
এর জ্বলন্ত প্রমাণ হলো ১৯৮১ সালে ইসলাম এবং বাংলাদেশকে ধংস করার জন্য সে দিল্লী থেকে এসেছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আবার প্রভুর কাছেই তিনি আশ্রয় নিয়েছে।পৃথিবীর কোনো দেশ তাকে আশ্রয় দিচ্ছে না। তিনি দিল্লীর ঘৃণ্য এজেন্ট ছিলেন।"
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির করিডোরে দুপুর ১২ টার দিকে এই সভার আয়োজন করা হয়।ৃ
তিনি আরো বলেন, দুটো লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছিল। প্রথম লক্ষ্য ছিলো ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটানো। দ্বিতীয়ত ভারতীয় আধিপত্যবাদকে নির্মূল করা। আমাদের প্রথম লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়টা আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। এখন আমাদের ভারতীয় আধিপত্যবাদকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে। ১৮ কোটি জনগণ যদি এক থাকে তাহলেই ভারতীয় আধিপত্যবাদের উৎখাত সম্ভব হবে। আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বৈরাচার সরকারের অপকর্ম বারবার মেইনস্ট্রিম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতে হবে।
এছাড়া মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, "আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব করেছেন। এবারের বিপ্লব সোশ্যাল মিডিয়ার বিপ্লব। কারণ মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সরকারের দালাল। তারা আন্দোলনের সময় কোনো ভূমিকা রাখেনি। এরা কোনো না কোনোভাবে সরকারের দালাল। দুঃখজনক হলেও ভারতের হিন্দুত্ববাদের প্রধান দালাল এই মিডিয়া। তাদের বিরূদ্ধেও এ বিপ্লব সফল হয়েছে।"
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেজর আব্দুল ওয়াহাব মিনার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: