ই-কমার্স: সিআইডির অনুমোদন পেলেই গ্রাহকদের পাওনা ফেরত শুরু

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪৮; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫১

ফাইল ছবি

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠন করে দেওয়া কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদারকি ও পরিবীক্ষণের আওতায় আনা এবং সাম্প্রতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক ব্যবসার কারণে যেসব ভোক্তা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে চলতি মাসেই এ কমিটি গঠিত হয়।
ক্রয় আদেশ দিয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে টাকা দেওয়ার পর পণ্য বুঝে পাওয়ার আগপর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের কাছে যে অর্থ জমা থাকে, সেটাই এসক্রো সার্ভিস। চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে তা চালু হয়। ৩০ জুনের পর যে ২১৪ কোটি টাকা আটকে আছে, তা দ্রুত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান সফিকুজ্জামান। বলেন, ‘ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দিয়েছি। টাকা জব্দ করা আছে। এটা ছুটে গেলেই (ডি-ফ্রিজ) ভোক্তাদের ফেরত দেওয়া হবে।’

এসক্রো চালু হওয়ার আগের গ্রাহকদেরও প্রায় ২৬০ কোটি টাকা জমা আছে, এ তথ্য উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে তথ্য পাওয়ার পর এ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমিটির কাছে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা অভিযুক্ত কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছে বলে জানান সফিকুজ্জামান। জানান, ‘এক সংস্থা ১৯টি, আরেক সংস্থা ১৭টি ও অপর সংস্থা ১৩টির প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এগুলো সমন্বয় করে বিএফআইউর কাছে পাঠানো হবে। তারা তালিকা ধরে ব্যাংক হিসাবের খোঁজ নেবে। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের হিসাব পাওয়া যাবে।’

সফিকুজ্জামান আরও বলেন, এটুআইকে (এসপায়ার টু ইনোভেট) কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইউনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বরের (ইউবিআইএন) ফরম্যাট দিয়েছে তারা, যা বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। দ্রুতই এটা চালু করা হবে। ই-কমার্স পরিচালনা করতে নিবন্ধন লাগবে। ব্যবসা যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে যায়, সে কারণেই এটা সহজ করা হবে।

 

 

সূত্র: প্রথম আলো



বিষয়: ই-কমার্স


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top