৭ আসনে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত

শরিকদের বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না: ওবায়দুল কাদের

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০১; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৫:১৮

ছবি: ফাইল

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের শরীকদের সাতটি আসনে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সাথে ছাড় দেয়া আসনে নৌকা মার্কা নিয়ে শরিক দলগুলো নির্বাচন করলেও কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি আওয়ামী লীগ দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমারও বিজয়ের গ্যারান্টি নেই। আমাকেও চারজনের সাথে লড়াই করতে হবে। যদি তাদের মধ্যে কেউ জিতে যায়, আমাকে মানতে হবে। এখানে হার-জিতের প্রশ্ন হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

তিনি বলেন, এখন শরিক দলের যত নেতা আছেন, তাদের সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। যার যার প্রতীকেই নির্বাচন করতে পারবে সবাই। তাদের কেউ বাধা দেয়নি, দেবেও না। তাদের সবার এবার নির্বাচন করার সুযোগ আছে। তারা যার যার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কারো ব্যাপারে কোনো বাধা নেই।

ক্ষমতাসীন জোটের শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি ১৪ দলের সমন্বয়ককে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি, নির্বাচন তারা সবাই করুক, তাদের দলের প্রতীক নিয়ে। আমরা সাতটা নির্বাচনী এলাকায় নৌকার ছাড় দিতে পারব। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সাথে আসন ভাগাভাগির প্রশ্নের ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে। তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। সবাই শুধু বিভিন্ন দলের সাথে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন। এই সময়টাকে, আমাদের এই অ্যালায়েন্সটাকে আমরা যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, আসনের ব্যাপারটা কম।

টিআইবি বিএনপির শাখা হয়ে গেছে, এ কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে। টিআইবি বলছে, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বুঝায়? টিআইবি আর বিএনপি একই সুরে কথা বলছে। তিনি বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। সরকারি দল হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। যেকোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে রেকর্ড করতে চায় আওয়ামী লীগ।

এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নেয়া ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছে বলে দলটির সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন এবার একটা ভালো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এমন একটি নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top