সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : ড.হেলাল উদ্দিন

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৪; আপডেট: ৫ মে ২০২৪ ২১:০৩

ছবি: সংগৃহীত

সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।

বুধবার রাজধানীর পল্টন এলাকায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কুরআন উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ থানার আমির শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে কুরআন উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পল্টন দক্ষিণ থানার কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, আ.ফ.ম ইউসুফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদিন বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে সিয়াম পালনের মাধ্যমে আমরা তাকওয়া ও খোদাভীতি অর্জন করে থাকি। এই রমজান মাসের এত মর্যাদা যে, এ মাসে যেকোনো ইবাদত ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আর আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে এর পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেছেন। মূলত রমজান মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছিল ফলে এই মাসের মর্যাদা আল্লাহ অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। সুতরাং এই মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সাথে যার সম্পর্ক হয়ে যাবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন।

তাই আমাদের কুরআনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। কুরআন অধ্যায়নের পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনে কুরআনের শিক্ষাগুলোকে আমল করতে হবে। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনের হুকুম ও বিধান প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তাহলেই আমরা ইহকাল ও পরকালে সফলকাম হতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, রমজান মাস আত্মশুদ্ধি, সংযম ও সহানুভূতির মাস। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার পবিত্র রামজান মাসেও রোজাদারদের ওপর গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে রীতিমতো শোষণ, জুলুম ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার মদের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে খেজুরের ওপর ট্যাক্স বাড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। সরকারের মন্ত্রী প্রহসনমূলক বক্তব্য দিয়ে খেজুর না খেয়ে বরই দিয়ে ইফতার করার নসিহত করে রোজাদারদের সাথে হাসি-তামাশা করে চলেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুরআনের ক্লাস করার জন্য তলব করে শিক্ষকদের শোকজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠান করা হয়। এটা দেশপ্রেমিক প্রতিটি বাংলাদেশী মানুষের জন্য চরম লজ্জার ঘটনা। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে দেয়ার মত ঘটনা।

তিনি আরো বলেন, এদেশে কুরআনের বিধান কায়েম করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জামায়াতে ইসলামী কুরআনের বিধানের আলোকে এদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এবার রমজান মাস উপলক্ষে আমরা রাজধানীতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের হাতে কুরআন উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। একাজে পাশে থাকার জন্য সামর্থ্যবান সকল মুসলমানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top