আইএমএফ’র শর্তে ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে: জাতীয় পার্টি

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪ ২৩:৪৫; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০২:৪৩

- ছবি - ইন্টারনেট

গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তে ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেন, মন্ত্রী দাম বৃদ্ধিকে বলেন সমন্বয়। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন। আগামী তিন বছরে ১২ বার করবেন।

ভর্তুকি পুরো তুললে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মানুষ কিনতে পারবে কিনা আমি জানি না। দাম বৃদ্ধি না করে এমন পদক্ষেপ নেন, যেটাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে সহনীয় পর্যায়ে আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, সড়কের বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হয় যেসব গাড়ির ফিটনেস নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। মন্ত্রী যদি একটু স্ট্রং হন। পুরনো গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অটো রাস্তায় না চললে মানুষ এভাবে মারা যাওয়া বন্ধ হবে।

এর পর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে কাজ না করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখন আইএমএফ যখন বলেছে তখন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

তিনি সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত না করে দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করে খারাপ ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে নতুন ব্যাংক করা যায় কিনা একান্তভাবে দেখা দরকার। সংকট উত্তরণ করতে হবে যদি অর্থনীতিকে সচল করতে চাই।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য কিছু ব্যাংককে একীভূত করার জন্য ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করেছে। এসব ব্যাংকের দায় হচ্ছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৫৪ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে খেলাপী ঋণ। গত ১০ বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর নাম এসেছে। এ ব্যাংকগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না।

যেমন বেসিক ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো রকম বড় পদক্ষেপ নেয়নি। আজ আইএমএফ যখন বলেছে, তখন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর দায় দায়িত্ব কে নেবে? যারা এর জন্য দায়ী তাদের কী হবে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো কথা বলেনি। যারা দায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top