পদ থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন, মুজিব অদর্শ থেকে নয়: আসাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১ ০৪:০৬; আপডেট: ১ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৫৬

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, ‘দলের পদ পদবী তো বিভিন্ন মানুষই পায়। পদ পাওয়া মানুষেরা আমাদের সাথে হাটুক, আমরা পদবিহীন মানুষেরা হাটবো। একবার দেখি না, তার কাতারে লোক বেশি হয় না আমাদের কাতারে। অনেক নেতার তো বড় বড় সম্মেলনে তিন’শ লোকও জুটে না। বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা হলো। পদবিহীন আসাদের একক আলোচনা অনুষ্ঠানে রেজিষ্ট্রেশন করে হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করেছে।’
তিনি বলেন, “আমাকে আওয়ামী লীগের পদ থেকে বাদ দিতে পারেন। আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে বাদ দিতে পারবেন না। আমাকে শেখ হাসিনার মিটিং-এ ওঠা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন। কিন্তু মাদ্রসার মাঠে শেখ হাসিনার উচ্চারণ আসাদ কোথায়? এ ডাক থেকে আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না। মাদ্রাসার মাঠে সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমি সৌভাগ্যবান মানুষ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা দুই মিনিট মঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলো আসাদের সাথে কথা বলার জন্য। এই থেকে তো আমাকে বঞ্চিত করতে পাবরেন না।”
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সেন্টার ফর পিপল্স এন্ড পলিসির আয়োজনে একক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের সততার দাবি করে আসাদ বলেন, আমি শপথ করে বলতে পারি আমি অর্থ কামানোর জন্য আওয়ামী লীগ করিনি। দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমি দুদকইে বলতে চাই, আপনাদের কাছে অনুরোধ করে গেলাম আমার অর্থ সম্পদের হিসেব দিয়েই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খাতা খুলুন। আমি সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় রাজশাহীতে অনেক সরকারি প্লট দেওয়া হয়েছে। অনেকেই নিয়েছেন। নাম না বলি। আমাকেউ ডেকেছিলো। সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ৫ কাঠার প্লট। আমি বলেছি শুধু আসাদুজ্জামান হলে নিবো, সাধারণ সম্পাদক হিসেব নিবো না। আমি নেয়নি। আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমপিতে মনোনায়ন না দিয়ে, জেলা পরিষদের চ্যেয়ারম্যান করার প্রস্তাব দেয়, আমি আপার কাছে অনুরোধ করেছি আমি যাবো না। বরেন্দ্র ও আরডিএ এর চ্যেয়ারম্যানের প্রস্তাব দেয় আমি নেয়নি।
দলীয় বিরোধতিার প্রসঙ্গ তিনি বলেন, আমার নাম গেলেই কিছু মানুষ বিরোধীতা করে। আমিতো করতেই চাই না আমি ঐসব জায়গায় যাবো না। আমি আওয়ামী লীগের পথেই থাকবো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথেই পথ চলবো। আর আমার জীবনের শেষ লক্ষ তো আছেই। আমার মৃত্যুর পর অনেক নেতার চেয়ে আমার জানাযা যাতে বড় হয় এই লক্ষ্যই আমার পথ চলা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
একক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তালুকদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং কাকনহাট পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান খান, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান রবু, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবু, মহানগর সেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, রাজশাহী বার এ্যসোসিয়েশসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. একরামুল হক, তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক, মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান প্রমুখ।
এসকে
বিষয়: আওয়ামী লীগ আসাদ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: