প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে উন্নয়ন অনেকের সহ্য হচ্ছে না: রাসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২ ১৮:৫৬; আপডেট: ৫ জুন ২০২২ ১৮:৫৬

বিএনপি কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে শনিবার বিকাল ৫টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একাত্তর সালের পরাজয়ের পর থেকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা কখনো পশ্চিমাদের আশ্রয়ে-প্রশয়ে মদদে, কখনো এদেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে নানা রকম অপপ্রচার, অপকর্ম এবং হত্যাযজ্ঞ করেছে। এই সমস্ত অপকর্ম যারা করেছে, কখনো মুসলীম লীগ, কখনো জামায়াতে ইসলামী, এখনো ইসলামী ছাত্রশিবির, কখনো ছাত্রদল, যুবদল, জাতীয়তাবাদী দল, আবার নানা নামে নানা বর্ণে তারা আওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে উৎখাত করতে চায়।

গ্রীষ্ম ও শীতকালে কিছু কিছু মানুষের মাথায় যেমন বিগাড় ওঠে, তারা উল্টাপাল্টা বলে। সেই রকম বিগাড় উঠেছে আজকে বিএনপি, ছাত্রদল ও তাদের সহযোগীদের, মির্জা ফখরুলরা আজকে ভুল বকা শুরু করেছে। তারা বিগত এতোগুলো বছর ধরে বলে আসছে, কখনো ঈদের পরে, কখনো রোজা আগে, কখনো পূজার পরে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা হবে। আমরা শুনতে শুনতে ট্রার্য়াড হয়ে গেলাম।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমাদের নেত্রীকে নিয়ে ছাত্রদলের নেতারা কটুক্তি করেছে এবং তারা বলেছে, ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’ পঁচাত্তর একবারই হয়েছে। এই বাংলার মাঠিতে পঁচাত্তর আর কোন দিন হবে না। পঁচাত্তরের যারা খুনী ছিল, কুশিলব ছিল, তাদের অনেককেই ইতোমধ্যে দুনিয়া থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। তাদের নামও মানুষ মনে রাখেনি, মনে রাখতে চায় না। পঁত্তাচরের ঘটনার নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোসতাক। তাদের একজনকে তারই লোকজন গুলি করে হত্যা করেছে। আর খন্দকার মোসতাক ঢাকায় তার জানাযা করা, দাফন করা সম্ভব হয়নি। কুমিল্লার দাউকান্দিতে তার মৃতদেহ নিয়ে গেছে, মানুষ ঘৃনায় সেখানে তার জানাযা করতে দেয়নি। লুকিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন তাকে দাফন করেছে। এই হলো পাপের শাস্তি। পাপীর বিচার আল্লাহ নিজেই করেন, বাংলার জনগণ তো করবেই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার প্রমুখ।  



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top