রোডম্যাপ করে

রাবির পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চায়

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ০১:৫৮; আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ০২:০৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে আয়োজিত সমাবেশ ছবি: রাজ টাইমস

অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।

শনিবার(২৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি তুলেছেন তারা।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে তারা। চুক্তি বাস্তবায়নে রোডিম্যাপ ঘোষণার পাশাপাশি 'অপারেশন উত্তরণ' সহ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, পুলিশ, প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ইত্যাদির দায়িত্ব পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের দাবি তুলেছেন তারা।

এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীদের সংহতি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক, আধিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুশান্ত মাহাতো, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল আহমেদ। সংগঠনটির রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে অর্ধশতাধিক আধিবাসী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার অন্যতম দিক হচ্ছে ভূমি সমস্যা। সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে একটি ভূমি কমিশন গঠনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন, রীতি, প্রথা ও পদ্ধতি অনুসারে পার্বত্যাঞ্চলের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও বিগত দুই যুগে একটি ভূমি বিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলনের পর গত ২০১৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন করা হয়। কিন্তু এরপর পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে সরকার ভূমি কমিশনের বিধিমালা ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। এই বিধিমালা প্রণীত না হওয়ার কারণে কমিশনের ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত মামলার শুনানী বা বিচারিক কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন গঠিত হলেও কমিশনের নেই প্রয়োজনীয় জনবল ও তহবিল। খাগড়াছড়ি জেলায় কমিশনের প্রধান কার্যালয় এবং রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যালয়ে কমিশনের শাখা কার্যালয় স্থাপন করা হলেও সেসব অফিস মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ দিলেও অস্থায়ী সেনাক্যাম্প প্রত্যাহর করা হচ্ছে না। সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রত্যাহৃত অনেক অস্থায়ী ক্যাম্প পুনর্বহাল করা হয়েছে। করোনা মহামারী কালে ২০টি ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম সংকটজনক হয়ে উঠেছে। দেশের সামগ্রিক স্বার্থেই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন তারা।

এসময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি জানানো হয়। দাবি গুলো হচ্ছে।

১. অতি দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণাপূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর করতে হবে।

৩. ছয়টি ক্যান্টনমেন্ট বাদে সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার ও “অপারেশন উত্তরণ” প্রত্যাহার করতে হবে।

এনএ



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top