রাজশাহীতে সর্বস্বান্ত হাজারো মানুষ

অ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হচ্ছে টাকা

বিশেষ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১:০০; আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১:০১

সংগ্রহীত

রাজশাহীতে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিদেশি অ্যাপসের ফাঁদে অনলাইনে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন হাজারো মানুষ। আবার এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে কেউ কেউ কোটিপতিও বনে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী নগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রতারণার ফাঁদ পাতা এসব অ্যাপসের অধিকাংশই বিদেশি। আর ডলারের মাধ্যমে এসব অ্যাপসে তথাকথিত যে এ্যাকাউন্ট খোলা হয় তার সবটাই পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। এসব অ্যাপরেস অধিকাংশই দুবাই ও ইন্ডিয়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে বলে তথ্যসূত্র থেকে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীদের তথ্য মতে, ফেসবুকের নিউজ ফিডে বিভিন্ন বিদেশি অ্যাপসের লোভনীয় মুনাফার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে বর্তমানে আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে ‘এমটিএফই’ নামের একটি বিশেষ অ্যাপস। এই অ্যাপসে টাকা বিনিয়োগ করলে দ্রুত কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অনলাইন প্রচার চালাচ্ছে কিছু যুবক। এই অ্যাপসের একটি হেল্প অফিসও খোলা হয়েছে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায়। কিছু যুবক অফিসটি পরিচালনা করছেন। আরেকটি অফিস আছে নগরীর অলোকার মোড়ে। বিনিয়োগকারীরা টাকা দিচ্ছেন ইউএস ডলারের হিসাবে। এসব টাকা সঙ্গে সঙ্গে চলে যাচ্ছে বিদেশে। কমপক্ষে ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করলে দিনশেষে পাঁচ হাজার টাকা লাভ আসবে। এই কল্পিত মুনাফার লোভে শত শত মানুষ বিনিয়োগ করছেন। অনেকেই গয়না-গাটি ও মূল্যবান সামগ্রী বন্ধক রেখেও বিনিয়োগ করছেন। ‘এমটিএফই’ নামের এই বিশেষ অ্যাপসটিতে বাংলাদেশে ৯ জন নির্বাহী আছেন। অ্যাপস বন্ধ হলে তারা কোনো দায়ভারও নেবেন না।

এদিকে এর আগে আলটিমা নামের একটি অ্যাপস গ্রহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে। এ অভিযোগে ডাঁশমারী এলাকার সবুজ, লিটন, এখলাসসহ কিছু যুবক আলটিমা নামের একটি অ্যাপসে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ করেন। কয়েকবার কিছু টাকা পান। এরপর অ্যাপসটি বন্ধ হয়ে যায়। বোয়ালিয়া থানায় গত ২৬ জুন সবুজ আলী বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে মামলা করেন। পুলিশ রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে আলটিমার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। এর আগেও রাজশাহীতে মুভি অ্যাপস নামের অনলাইন মাধ্যমে বিনিয়োগ করে কয়েক কোটি টাকা খুইয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

আরএমপির মিডিয়া সেলের মুখপাত্র এডিসি রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, এসব অ্যাপসের দেশে কোনো অনুমোদন নেই। এসব অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। কারও ধোঁকায় না পড়ে বিদেশি অ্যাপসে বিনিয়োগ করার আগে সতর্ক হবার পরামর্শ দেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top