নওগাঁয় একজনের বরাদ্দকৃত ঘর অন্যজনকে দিলেন ইউএনও

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৫; আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫০

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাদ্দকৃত বাসার তালা ভেঙে অন্যকে তোলার ঘটনা ঘটেছে। ঘরটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিয়া মার্জিয়াকে। ইউএনওর অনুমতিতে তথ্য সেবা কর্মকর্তা জেবুন নেসা সেই ঘরে উঠেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিষদের কর্মকর্তাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখে উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারক লিপি থেকে জানা যায়, ১০ম গ্রেডের নন ক্যাডার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিয়া মার্জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের বাসা বরাদ্দ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাণীনগর উপজেলা পরিষদের পলাশ দ্বিতীয় তলায় ইউনিট নং-৩ এ আগামী ১ মার্চ ২০২৪ থেকে শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ প্রদান করা হলো।

তারই প্রেক্ষিতে রাজিয়া মার্জিয়াকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু ওই বাসায় ওঠার অনুমতি প্রদান করেন। অনুমতি পাওয়ার পর সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা ওই বাসায় ওঠার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে তালা দিয়ে রাখেন। একই বাসা বরাদ্দ পাওয়ার জন্য গত ১৩ মার্চ আবেদন করেন উপজেলা পরিষদের অন্য বাসায় বসবাসকারী তথ্য সেবা অফিসের প্রকল্প কর্মকর্তা জেবুন নেসা। জেবুন নেসার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা বাসা বরাদ্দ কমিটির সঙ্গে আলাপ না করেই ওই বাসায় ওঠার অনুমতি দেন। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি উম্মে তাবাসসুম। এতে করে বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে তথ্য সেবা কর্মকর্তা জেবুন নেসা জানান, আবেদন করার কারণে ইউএনও স্যার তাকে পলাশ ভবনের ৩নং বাসায় উঠতে বলেছেন বলেই তিনি সেখানে মালপত্র রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম জানান, জেবুন নেসাকে ওই বাসায় তালা ভেঙে উঠতে বলেননি। তিনি একটি শুনানিতে আছেন, পরে কথা হবে বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু বলেন, ইউএনওর এমন কর্মকাণ্ডে আমি ব্যথিত হয়েছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাসাটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে একজন কর্মকর্তাকে। তাহলে সেই বাসাটি ইউএনও আবার কীভাবে নতুন করে অন্যজনকে বরাদ্দ দেন। তিনি বরাদ্দ প্রদানের আগে বিষয়টি আমাকে জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এমন উল্টাপাল্টা কর্মকাণ্ডে উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে দলাদলির সৃষ্টি হয়, যা সরকার ও উপজেলাবাসীর জন্য মঙ্গলজনক নয়।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top