বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী ২০২১ ০০:৩১; আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ১২:৫৭

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। বঙ্গবন্ধুর আহবানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় এনে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে সেই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেননি। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমদ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

রিসোর্স পারসন ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহম্মদ শরিফুল হক, ডিআইজি রাজশাহীর রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন) আব্দুস সালাম, ঢাকার জামেয়া আশরাফিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুযযামান, বায়তুল জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী সহকারী পরিচালক একেএম মুজাহিদুল ইসলাম ও ফিল্ড অফিসার এস. এম হুমায়ুন কবির।

সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন খাঁটি মুসলমান ছিলেন। তিনি ইসলামের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, রেডিওতে কোরআন তেলাওয়াত চালু সহ বিভিন্ন কল্যানকর কাজ করে গেছেন। ইসলামের কল্যানে বঙ্গবন্ধুর অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তারা আরো বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান নেই। দেশের ইমাম ও আলেম সমাজ মসজিদে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দমনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে থাকে। বর্তমান সরকার ইমাম-উলামাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে সরকার। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি কখনো নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে দেশের কল্যানে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশ ও জাতির অগ্রগতি-সমৃদ্ধি ও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর ও পবা উপজেলার বিশিষ্ট আলেম-ওলামা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষকসহ মোট তিন শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এনএস




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top