বন্ধ হল বাগমারায় দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি অগ্নিসংযোগ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২০ ২২:১৮; আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০ ২২:২৩

ফাইল ছবি

বন্ধ হল রাজশাহীর  বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া গ্রামে চলা প্রতিপক্ষদের পাল্টা-পাল্টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে মসজিদ পরিচালনাকে কেন্দ্র করে চার মাস ধরে চলা এই সংঘাতের শেষ হয় বুধবার (১৯ আগস্ট)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের রাজারামপুর পাড়া মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে দুইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষের নেতৃত্বে দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি নাজির উদ্দিনের বড় ভাই আফজাল হোসেন এবং অপর পক্ষে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আলতাফ হোসেন।

গত জুলাই মাসে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব না পেয়ে আলতাফ হোসেন কমিটির সভাপতি ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে।

আলতাফ হোসেন অভিযোগ দেওয়ার পরই তার পক্ষের জনৈক উছমান আলীর ঘরে রাতের বেলায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে ঘটনার সপ্তাহখানিক পর আফজালের পক্ষের জমসেদ আলীর খড়ের পালায় রাতের বেলা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুনরায় ১৪ আগস্ট রাতে আফজালের বাড়ির সামনে আগুন লাগানো হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

আফজাল হোসেন থানায় অভিযোগ করার দুই দিন পর ১৭ আগস্ট রাতে আলতাফের বাড়ি সংলগ্ন লাকড়ির ঘরে আগুন লাগে। এই ঘটনায় তিনি আফজালের পক্ষের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আলতাফ হোসেন ও তার পক্ষের লোকদের অভিযোগ করেন, মসজিদের আয়–ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় আফজাল হোসেন তাঁদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। তাঁরা এই বিষয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিলে তাঁদের ফাঁসাতে নিজের বাড়ি ঘিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নাটক সাজিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের বাড়িঘরেও আগুন লাগানো হয়।

অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হোসেন বলেন, তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর বাড়িতে আগুন দিয়েছিলেন। সেটা থেকে বাঁচতে নিজেদের স্থাপনায় তাঁরা নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া নিয়ে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

পাল্টা-পাল্টি এই ধরণের অগ্নিকান্ডের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মানিক প্রামাণিক বলেন, রাতের বেলা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো সাজানো বলেই মনে হয়েছে। উভয়পক্ষই আগুন নিয়ে খেলছেন।

ঘটনার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, মসজিদের আয়–ব্যয়ের হিসাব নিয়ে গ্রামে দুইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে ইউএনওর নেতৃত্বে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে এর সমাধান করা হয়েছে। মসজিদের যে পরিমাণ টাকা কমিটির কাছে ছিল তা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে বিরোধ মিটে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসএইচ



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top