রাজশাহীতে শেষের দিকে রোপা-আমন ধানের রোপন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২০ ১৯:২৯; আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২০ ১৯:৩৭

ফাইল ছবি

কৃষিতে চলছে এখন আমন ধান রোপনের মৌসুম। এই ধানটি রোপনে কৃষকটির নিত্য সঙ্গী বৃষ্টি। তবু ও বৃষ্টি-বাদলা দিনে থেমে নেই কৃষকদের ধান রোপন কাজ।

রাজশাহী জুড়ে পুরোদমে চলছে রোপা-আমন ধান রোপন কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার নয়টি উপজেলার চাষিরা।

আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রোপন শেষ হবে বলে আশা করছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তারা জানায়, সব উপজেলার অধিকাংশ জমিতে ধান রোপন কাজ প্রায় শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ। আর কয়েকদিনের মধ্যে বাকি ১০ ভাগ জমিতে ধান লাগানো শেষ হবে। 

চলতি মৌসুমী এবারের আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উপশী) জাতের রোপা-আমন চাষ এমনটাই জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে এর মধ্যে নয়শত ৬১ হেক্টর জমিতে (কালোজিরা-চিনি আতব) ধান রয়েছে।

অন্যান্য বছরের মত এ বছর ও মৌসুমী ধানের বেশী আবাদ হয়েছে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায়। আর অন্যদিকে, মাত্রাতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে জেলার বাগমারা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, পুঠিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতবছরের তুলনায় এ বছর বেশী লক্ষ্যমাত্রাই ধরা হয়েছে রোপা-আমন ধানের আবাদে। এই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৪ মেট্রিকটন। আর চালের লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ২৪ হাজার ১৪৯ মেট্রিকটন।

এ বছর ধানের দাম একটু ভালো থাকায় ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক কৃষক এমনটাই জানান চারঘাট উপজেলার সারদা এলাকার কৃষক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন গতবার ধানের দাম কম থাকলেও এবার একটু বেশি আছে। আমাদের বিলে বেশি শতাংশ জমিতে মানুষ ধান লাগিয়েছে মানুষ। আমি এবার দুই বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান করছি। জমি একটু উঁচু থাকায় বৃষ্টিতে ভালো ধান হয়েছে।

শ্রমিক সংকটের কারণে রোপন কাজ কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার চাষি নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার নিজের তিন বিঘা জমির পাশাপাশি লিজ হিসাবে আরো দু’বিঘা জমিতে ধান রোপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তদারকি ও চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামছুল হক বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার একটু বেশি ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে অতি বৃদ্ধিতে কিছু এলাকায় বন্যা হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এই ক্ষতি হলেও আমরা তা পুষিয়ে নিতে পারবো। কারণ সিংহভাগ তানোর গোদাগাড়ীতে হয়। সেখানে জমি উঁচু জায়গা হওয়ায় ক্ষতি হয়নি।

  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top