রাজনীতি নয়, কর্মময় জীবন থেকে সেবা করতে চাই: উপ-সচিব রথীন্দ্রনাথ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২১ ০০:৪৮; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১৯:২২

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব রথীন্দ্রনাথ দত্ত।

'আমার জীবনে রাজনীতি করার কোন শখ নেই। আমি আমার কর্মময় জীবন থেকে মানুষকে সেবা করতে চাই। আমার কাছে দেশের সকল মানুষ সমান। আমার ধর্ম মানবতা। এমনটি উল্লেখ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী-সহ সকল পর্যায়ের লোকজনের সাথে সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বাঘার কৃতিসন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব রথীন্দ্রনাথ দত্ত।


সোমবার সমাল ১১ টার দিকে উপজেলার নারায়নপুর এলাকায় অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়ীর সামনে আকষ্মিক ভাবে প্রায় শতাধিক লোকজনের আগমন ঘটলে উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব কুমার সাহার সঞ্চালনায় সকলের উদ্দেশ্যে তিনি এ অভিমত ব্যাক্ত করেন।

রথীন্দ্রনাথ বলেন, আমি এই জনপদের মানুষ হিসাবে প্রতিবছর শারদীয় দূর্গোৎসবে বাড়ী আসার চেষ্টা করি। অত:পর আমার বাৎসরিক উৎসব বন্ধু সার্কেলদের কাছ থেকে গরীব দুঃখীদের জন্য কিছু অনুদান নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি ইতিমধ্যে পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বলেছি, এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০ জন মানুষকে পূজা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী দেয়া হলে ৭০ ভাগ মুলমিম সম্প্রদায়ের মানুষের নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করবেন। কারণ আমার কাছে মানুষ হিসাবে সবাই সমান।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেষ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, এ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী সনাতন ধর্মাবলীদের নানা প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়া সহ অত্যন্ত ভাল রেখেছেন। এ জন্য আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর প্রতি চির কৃতজ্ঞ। মাননীয় মন্ত্রী সব সময় একটি কথায় বলে থাকেন, ধর্ম যার-যার, দেশ সবার। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্থানীয় সাংসদ ও পরলাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার সম্পর্কেও এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে পজেটিভ মন্তব্য করেন।

রথীন্দ্রনাথ বলেন, আমি ইতোমধ্যে রাজশাহীর রেঞ্জের ডি.আই.জি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চারঘাট সার্কেল, বাঘা থানা নির্বাহী অফিসার, ওসি এবং বহিরাগত এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দাওয়া করেছি। আমার বিশ্বাস তারা সবায় বাঘায় কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপে আসবেন। আমি এখানে উপস্থিত সবাইকে দাওয়াত করছি। আপনারা সবাই কালকে সন্ধ্যায় এলে আমি ধন্য হবো। এখানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ সাধারন মানুষের মাঝে ১২ শ’ পিচ শাড়ি কাপড়, ৫ শ’ পিচ লঙ্গী, ২ শ’ পিত থ্রী পিচ, ৩শ’ প্যান্ট পিচ এবং ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাঘা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী সুজিত কুমার ওরুডে বাকু পান্ডের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ ভারতে চলে যেতো । কিন্ত্র এখন আর কেউ যায় না, তাঁর মতে, এক সময় পূজা উদযাপন নিয়ে বৈষম্য থাকলেও এখন সেটি আর নেই।

এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-পাশ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, বাঘার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা জাসদ নেতা শফিউর রহমান শফি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা আনজারুল ইসলাম, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিব মিয়া , সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান ,রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top