আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় জয়

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৩৪; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১১:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

নামে-ভারে, শক্তি-সামর্থ্যে আফগানদের থেকে ঢের এগিয়ে ভারত। তার ওপর আবার নিজ দেশে খেলা! ম্যাচ জুড়েও তাই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা গেল তাদেরই। আফগানরা রুখতে পারেনি ভারতীয় আগ্রাসন। ব্যাট হাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল বটে, বল হাতে পাত্তাই পায়নি রোহিত শর্মার সামনে।

অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে বুধবার (১১ অক্টোবর) আফগানিস্তানকে আতিথ্য দেয় ভারত। তবে এমন আপ্যায়ন ভুলে যেতে চাইবেন রশিদ খানরা। আগে ব্যাট করে তাদের দেয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্য ১৫ ওভার বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে ভারত। জয় তুলে নেয় ৮ উইকেটে।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে টানা দুই জয় তুলে নিল ভারত, এগিয়ে গেল সেমিফাইনালের দৌড়ে। বিপরীতে আফগানিস্তানের জন্য এবারের আসর হয়ে উঠল আরো কঠিন, দুই ম্যাচের উভয়টাতেই হেরেছে তারা। এখনো পায়নি কোনো পয়েন্টের দেখা। আর সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে শেষ ১৪ ম্যাচে কোনো জয়ের মুখ দেখেনি আফগানিস্তান।

এই ম্যাচটা বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে রোহিত শর্মার জন্যে। ভারতীয় এই অধিনায়ক নিজের ৩১তম ওয়ানডে শতক পেয়েছেন এই ম্যাচে। মাত্র ৬৩ বলে শতক ছুঁয়ে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান এখন রোহিত৷ সেই সাথে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বলে গেছেন তিনি, ৭টি।

শুরু থেকেই এদিন আফগান বোলারদের চেপে ধরেন রোহিত শর্মা। রশিদ-মুজিবদের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়েন তিনি। হিটম্যান নামটা আরো একবার স্মরণ করিয়ে দেন, দেখা দেন বিধ্বংসী রূপে। আফগান বোলার তো বটেই, দর্শক বানিয়ে ছাড়েন অপরপ্রান্তে থাকা ইশান কিশানকেও।

একপ্রান্তে রোহিতের রান যখন ৪৮ বলে ৭৯, অপরপ্রান্তে ২৪ বলে ১৪ রানে ছিলেন ইশান। তবে এরপর খানিকটা হাত খুলেন তিনি। রোহিতের শতকের সময় তার ব্যাটে ছিল ৪১ বলে ৩৮ রান। এরপর আর ৯ রান যোগ করতে পারেন ইশান। ৪৭ বলে ৪৭ করে ধরা পড়েন রাশিদের বলে। তাতে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন হয় ১৫৬ রানে।

২৫ ওভারে দলকে দুইশো পাড় করে দিয়ে আউট হন রোহিত। রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৮৪ বলে ১৬ চার ৫ ছক্কায় ৮৪ বলে ১৩১ রানে। বাকি কাজটা সারেন বিরাট কোহলি। শ্রেয়াস আইয়ারকে সাথে নিয়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়। কোহলি ৫৫ ও আইয়ার অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। ৩৫ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ভারত।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভারর মাত্র ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। গুরবাজ ২১, ইবরাহীম জাদরান ২২ ও রহমত শাহ ফেরেন ১৬ রানে। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন দু,জনে। এনে দেন মান সম্মত সংগ্রহের ভীত। ওমরজাইকে ফিরিয়ে এই জুট ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া, ৬৯ বলে ৬২ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। ৩৪.২ ওভারর ১৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।

এরপর শাহিদি ও নাবি মিলে দুইশো পাড় করেন, ৪২.৩ ওভার পর্যন্ত সংগ্রহ করেন ২২৫ রান। শতকের পথে হাঁটতে থাকা শাহিদিকে ফেরান কুলদিপ যাদব, ৮৮ বলে ৮০ করে আউট হন তিনি।এরপরই শুরু হয় বুমরাহ দ্রুত ফেরান নাজিবুল্লাহ, নাবি ও রশিদ খানকে। ৮ উইকেটে ২৭২ করে থামে আফগানরা। ৪ উইকেট নেন বুমরাহ, হার্দিক পান ২ উইকেট।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top