বেঙ্গালুরু পরীক্ষায় অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১০:১৩; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৪৪
-2023-10-20-10-13-28.jpg)
২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এরই মধ্যে ১৭টি ম্যাচ হয়ে গেছে। অথচ বেঙ্গালুরুবাসী এখনো বিশ্বকাপের মজা সেভাবে পায়ইনি। কি করে পাবে। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে এখনো যে কোনো ম্যাচই হয়নি। বেঙ্গালুরুবাসীর সেই আক্ষেপ ঘুচে যাচ্ছে আজ। পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের।
বেঙ্গালুরুর এই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজকের আগেই অবশ্য বিশ্বকাপের ম্যাচ হয়েছে ৭টি। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ হয়েছিল এই মাঠে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের কোয়ার্টার ফাইনালের রোমাঞ্চও পেয়েছে এই মাঠ।
বাকি ৫টি ম্যাচ হয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপে। তার মধ্যে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচটিও আছে। যে ম্যাচে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল আয়ারল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের করা ৮ উইকেটে ৩২৭ রান তাড়া আয়ারল্যান্ড করেছিল ৭ উইকেটে ৩২৯। তবে এবার আইরিশদের সেই রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তান। গত ১০ অক্টোবর হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কার (৩৪৪/৯) বিপক্ষে পাকিস্তান (৩৪৫/৪) গড়েছে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নতুন রেকর্ড।
সেই পাকিস্তানই আজ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সেই অস্ট্রেলিয়া, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডেটি খেলেছে যারা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, ভারতের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসের অনেক ঘটনার সাক্ষী বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীর আজকের ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান, দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম তিন ম্যাচে পাকিস্তানের পয়েন্ট ৪, অস্ট্রেলিয়ার ২। মানে প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে মাত্র একটিতে।
ফলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন উজ্জ্বল রাখতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে আজ জিততেই হবে। হারলে অসিরা পড়ে যাবে খাদের কিনারায়। অসিদের মতো অতটা কঠিন না হলেও হারলে পাকিস্তানও পড়ে যাবে চাপে।
সুতরাং আজ বেঙ্গালুরুতে দুই দলই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে টানা হারলেও শেষ ম্যাচে জিতেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মজার ব্যাপার হলো—পাকিস্তানেরও দুই জয়ের একটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
যাই হোক, প্যাট কামিন্সের দল আজ সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামছে মাঠে। বিপরীতে তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেও আজ মাঠে নামার পথে পাকিস্তানের সঙ্গী হচ্ছে হতাশা। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে চিরশত্রু ভারতের কাছে যে হেরেছে বাবর আজমের দল। হায়দরাবাদের সেই হারটাও ছিল অসহায়ভাবে।
যে হারের পর স্বদেশি সমর্থক-বোদ্ধাদের অনেক সমালোচনা হজম করতে হয়েছে বাবর আজমদের। আজ হারলে সমালোচনার তির যে আরো বেশি করে রক্তাক্ত করবে, সেটা জানেন বাবর আজমরা। তাই যে কোনোভাবে বেঙ্গালুরুতে জয় চাইবেন তারা।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স তো আগেই বলে দিয়েছেন, ‘এখন প্রতিটা ম্যাচই আমাদের জন্য ফাইনাল।’ প্যাট কামিন্সের সেই ‘ফাইনাল’ জিতে দেশবাসীর সমালোচনা বন্ধ করতে পারবেন বাবর আজমরা? নাকি নিজেদের ট্যাগ লাগানো ‘ফাইনাল’ জিতে অস্ট্রেলিয়ানরাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেবেন ‘আরেক ফাইনালের’ জন্য?
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: