আমরা সমর্থক ও নিজেদের হতাশ করেছি: হাথুরু
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৭; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৪
-2023-11-06-11-37-29.jpg)
ভারত বিশ্বকাপ নিয়ে বড় স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের। আশা ছিলো বড় কিছু অর্জনেরও। সেই সুবাদে দলকে শক্তিশালী করতে টাইগারদের সেরা সাফল্য এনে দেওয়া কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহকে দ্বিতীয় মেয়াদে দলের দায়িত্বে ফেরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের সাত মাস আগে সাকিব-মিরাজদের দায়িত্বে আনা হয় তাকে।
আর এরপর থেকেই বেশ বড় প্রত্যাশার কথাই শোনা যাচ্ছিল। তার হাত ধরে এবারের আসরে দারুণ কিছু করার প্রত্যয়ও ছিল। তবে সব কিছুই শেষ।
আসরে সাত ম্যাচের মধ্যে মাত্র এক ম্যাচের মধ্যে মাত্র এক খেলায় জয় তুলে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে বাদ পড়েছে বাংলাদেশ। এ সময় আফগানিস্তান বাদে কোনো দলের বিপক্ষেই লড়াই করতে পারেনি। উলটো এখন তো ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই টাইগারদের খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার পর থেকেই টাইগারদের নিয়ে চলছে সমালোচনা। এরপর আসরে এমন ব্যর্থতা সব কিছু মিলিয়ে এর পেছনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পর কোচেরও দায় দেখছেন অনেকে। ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল, একাদশ বা স্কোয়াড নির্বাচনে ভুল; এমন নানা কিছু আসছে সামনে।
তাই সোমবার দিল্লিতে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হিসেবে আসা কোচ হাথুরুসিংহের সামনে চলেই এলো প্রশ্নটা যে বিশ্বকাপের পর আপনি কোচ থাকছেন তো? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই দলের বাকিদের মতোই দায় নিচ্ছি। আমরা সমর্থক ও নিজেদেরকে হতাশ করেছি। সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে এখন এসে কিছুই বদলে যায়নি। কেবল আমরা যা শুনছি, সেটা বদলেছে। স্কিল কোথাও চলে যায়নি। আমার মনে হয় আমরা নিজেদেরকে বাড়তি প্রত্যাশা দিয়ে দমিয়ে রেখেছি।
এই একটা ব্যাপার নিয়েই আমরা ভাবতে পারি, কারণ আপনি ঠিকই বলেছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অথবা বিশ্বকাপে আসার আগে খেলা সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। সেদিক থেকে আমাদের আয়নায় তাকাতে হবে আর দেখতে হবে কী ভুল হলো। এবং আমি কোচ থাকব কি না—এটা আমার ওপর নির্ভর করে না, এটা আসলে বোর্ডের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে।’
এদিকে টাইগারদের অতীতের রেকর্ড হিসেবে দলের খারাপ সময়ের পর বেশিদিন দায়িত্বে টিকে থাকতে পারেননি কোচ। ব্যর্থতার দায়ভার তাদের ওপর চাপিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার তেমন কিছু না হলে নিশ্চিতভাবেই হাথুরুসিংহকে ভাগ্যবান বলতেই হবে। হাথুরুসিংহের সঙ্গে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপের আগে বেশি সময় না পেলেও বিশ্বকাপের পর তিনি তার মূল কাজ শুরু করবে জানিয়ে বলেন, ‘আমি সাত মাস পেয়েছি। এ সময়ে তো তেমন কিছু বদলে ফেলা যায় না। দল যেখানে ছিল ওখান থেকেই দলকে ভালোভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। আসলে আমার কাজ শুরু হবে এরপর (বিশ্বকাপের পর) । বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা আর দলকে সামনে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভিন্নতা আছে।’
তবে বাংলাদেশ এখনো হাওয়ায় ভাসছে। আসরে শেষ দুই ম্যাচে অর্থাত্ আজকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং শেষ ম্যাচে অস্ট্রিলিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে টেবিল পয়েন্টের শীর্ষ আট দলে উঠতে হবে না হলে বিশ্বকাপের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও শেষ হয়ে যাবে টাইগারদের। কোচের মতে লাল-সবুজরা যে কোনো মূল্যেই হোক এই টুর্নামেন্টটি নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারি। কারণ আমরা এখনো ভালো দল। আমরা জানি এখানে যা করেছি তার চেয়ে আমরা অনেক ভালো দল। কিন্তু আমরা ভালো খেলতে পারিনি। এমনকি আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটের ধারেকাছেও খেলতে পারিনি। আমরা এখনো বিশ্বাস করি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্পট অর্জন করা সম্ভব।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: