হাথুরুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিসিবি!
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩১; আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৪
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর একেবারের শেষ প্রান্তে। আজ চলছে প্লে-অফ পর্বের প্রথম দিনের খেলা যেখানে দিনের প্রথম ম্যাচে এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল।
আর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে রংপুর রাইডার্স। এদিকে আসরের একেবারের শেষভাগে এসে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাঁর কাছে বিপিএল সার্কাসের মত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফোকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হাথুরু। সেখানেই বিপিএলের সমালোচনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশে কার্যকর কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই বলেও মতামত দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে বিশ্বমানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, ‘আমাদের যথাযথ কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। এটা শুনতে অদ্ভুত লাগবে। তবে বিপিএল যখন দেখি, মাঝেমধ্যে টিভি বন্ধ করে দিই। কিছু খেলোয়াড় তো কোনো মানেরই নয়। এই চলমান পদ্ধতি নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন আছে।’
হাথুরু বলেন, ‘আইসিসির এখানে হস্তক্ষেপ করা উচিত। অবশ্যই কিছু নিয়ম থাকতে হবে। একজন খেলোয়াড় একটা টুর্নামেন্ট খেলছে, পরে আরেকটা খেলছে। এটা সার্কাস। খেলোয়াড়েরা তাদের সুযোগের কথা বলবে, কিন্তু এটা ঠিক নয়। মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, আমি আগ্রহ হারিয়েছি।’
এদিকে বিপিএল নিয়ে হাথুরুর এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিসিবি নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিবে বলেও জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) সোমবার টেনিসের একটি প্রোগ্রামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে দেখতে হবে সে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে কিনা। আমাদের যে নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। এটা প্রথম কথা।
দ্বিতীয় কথা, সে কোনো জায়গায় এমন কিছু বলেছে কিনা যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য, সেটা যেইই হোক, ঘরোয়া ক্রিকেট হোক, খেলোয়াড় হোক, বিপিএল হোক, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক, যেটা কিনা নেতিবাচক বার্তা বহন করে। তাহলে অবশ্যই তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। অবশ্যই শোকজ করা হবে।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘অনেক সময় হয় কী, ইনফরমেশন যদি সঠিক না জানা যায়, তাহলে ভুল তথ্য পাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি থাকে। আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে, একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকমের। জিনিস একেকজন একেকভাবে দেখে। ওখানে কাকে দোষ করছে, কেন তার মনে হচ্ছে দেখতে ইচ্ছা করছে না, টেলিভিশন অফ করে দিচ্ছি বা এরকম কথাবার্তা।
সেটা বলার পিছনে কারণ কী, সেটার পেছনের কারণ আমার জানার দরকার। একবার একটু পড়ে নিই, তাহলে আমার জন্য বলা সহজ হয়। কোন একটা জিনিস যদি না দেখি, তাহলে এভাবে বলা কঠিন।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: