রাত পোহালেই শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৪ ২১:১৩; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৭

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পেরিয়েছে ছয় দিন, শেষ হয়েছে ১২টি ম্যাচ। এখনও বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। টাইগার ক্রিড়াপ্রেমীদের অপেক্ষা শেষের পথে প্রায়। রাত পোহালেই মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানরা, প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কা।
গত কয়েক বছরে এই দুই দলের লড়াই পেয়েছে অন্যরকম মাত্রা। নাগিন ড্যান্স থেকে টাইমড আউট- সবকিছু দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে যেন করেছে আরও উত্তেজনাকর। শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টার ম্যাচেও হারতে নারাজ দুই দলই।
প্রতিযোগিতায় ‘টিকে ধাকতে’ শ্রীলঙ্কার যেমন এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন, তেমনি সাম্প্রতিক ব্যর্থতা পেছনে ফেলে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে মরিয়া বাংলাদেশও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে টাইগাররা। এরপর প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছেও দল করে অসহায় আত্মসমর্পণ।
সাম্প্রতিক পারফরমেন্স বিবেচনায় নিলে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেওয়ার মত দল নয় বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচের বাজে পারফরমেন্স আশা দেখাচ্ছে টাইগারদের। মন্থর উইকেটের সাথে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হেরেছিল লঙ্কানরা। মন্থর উইকেটের বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করছে।
ডালাস এবং নিউইয়র্কের সাথে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের মিল পাওয়া যাচ্ছে। লঙ্কানদের ধরাশায়ী করতে উইকেটের উপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে পাঁচটিতে জয় ও ১১টিতে হেরেছে তারা। বড় দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি জয় আছে টাইগারদের। এই পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘আগে যা হয়েছে তা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা জানি, আমরা কতটা সামর্থ্যবান। আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গ্রুপ ‘ডি’-তে শ্রীলঙ্কা ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। পরের রাউন্ডে যেতে চাইলে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে যেকোন একটি বড় দলকে হারাতে হবে বাংলাদেশকে।
এই ম্যাচে কিছুটা চাপে থাকবে শ্রীলঙ্কা। কারণ, এদিন জিততে না পারলে পরের রাউন্ডে যাবার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে লঙ্কানদের। সেক্ষেত্রে অনেক যদি-কিন্তুর সুতোয় ঝুলবে তাদের ভাগ্য।
সাইড স্ট্রেন ইনজুরির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি তাসকিন আগমেদ। এই ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে দলের আরেক সেরা পেসার শরিফুল ইসলামকে পাবে না দল। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোটে পড়েন শরিফুল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: