পাহাড়ে সেনা শাসন প্রত্যাহারের দাবিতে রাবিতে মশাল মিছিল

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:০৬; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৯

ছবি: প্রতিনিধি

পাহাড়ে সেনা শাসন প্রত্যাহার ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমা এবং বর্তমান সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরাসহ ৪ জনকে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফের সঞ্চালনায় নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার মুখোশ পড়ে যে আন্দোলন করছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। পাহাড়িদের যে অধিকার খর্ব করা হচ্ছে তার জন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। পাহাড়িরাও আমাদের মতো মানুষ। আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে দমানো সম্ভব এবং পাহাড়িদের অধিকার আদায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলি বলেন, পাহাড়ের চার নেতাকে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও আমাদের যে অধিকার ও পাহাড়িদের অধিকার আমরা ফিরে পায়নি। যতদিন না দেশে গনতন্ত্র চালু হবে ততদিন দেশের মানুষ মুক্তি পাবে না। পাহাড়ি চার নেতার হত্যার বিচার এবং পাহাড়ে সেনা শাসন প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।

পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনের নেতা শামীম ত্রিপুরা বলেন, পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত সর্বত্র আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা একতাবদ্ধ ও লড়াই সংগ্রামকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় আমাদের সহযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাদের এ নীলনকশা ৯৭ এর শুরুতেই দেখেতে পেয়েছি। পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী, প্রশাসন কিভাবে আমাদের দমন করছে তা আপনারা জানেন। তারা শুধু হত্যাই করছে না বরং পুরো পাহাড়িদেরকে মেধা শূন্য ও জাতি শূন্য করার জন্য তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। শুধু পাহাড় নয় পুরো জাতিকে হত্যা করার চেষ্টা করছে তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাকিল হোসেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বাবলু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক সমুজ্জ্বল চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক আসিফ রহমান, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম হোসেনসহ পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top