মসজিদ মিশন একাডেমি নিয়ে

রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৩৭; আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৪০

রাজশাহী মসজিদ মিশন একাডেমির রাজনৈতিক এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সন্ধ্যায় দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে মসজিদ মিশনের একাডেমির বিষয়ে পাঁচটি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হয়।
নগরী শাহ্মখদুম কলেজে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এনামুল হক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, বাসদের রাজশাহীর সমন্বয়কারী আলফাজ হোসেন, জাসদের সহসভাপতি সাবিয়ার রহমান, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনী, রাজশাহীর সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজাউল ইসলাম, রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সভাপতি আবদুল লতিফ চঞ্চল, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার, ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল ও আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার।

সভায় থেকে মসজিদ মিশন একাডেমির দুর্নীতি ও জামায়াতের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধসহ পাঁচটি দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে এক যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়, মসজিদ মিশন সংস্থার দ্বারা পরিচালিত মসজিদ মিশন একাডেমিতে কোন হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় না। এখানে অমুসলিম ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ নেই। এটি বাংলাদেশের শিক্ষানীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তাই মসজিদ মিশনের এই নিয়ম ভেঙে দিতে হবে। সেখানে অন্য ধর্মেরও শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি সরকারের আইন অমান্য করে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে অনুমোদনহীন কমিটির দ্বারা সংস্থাটি কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং আইন অমান্য করে রজাশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে বিশেষ কমিটি গ্রহণের সুযোগ নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে প্রতারণা করছে।
মসজিদ মিশন কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ছাত্রী কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংস্থাটির কার্যক্রম চালু রাখলে এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সূত্র ও ছবি : অনলাইন নিউজ পোর্টাল। 
মসজিদ মিশন সংসস্থা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে দান গ্রহণ করে। সরকারের অনুদান, সাদকা, জাকাত নানাভাবে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করে যা অডিট করা হয় না। মূলত এই সংগৃহিত অর্থ জামায়াতি রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যয় করা হয়। এটি দেশের সমাজসেবা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
এছাড়া মসজিদ মিশন একাডেমিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কতিপয় শিক্ষক জামায়াত-শিবিরের উচ্চপর্যায়ের নেতা হওয়ার কারণে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন। তারা অধিকাংশ সময় গ্রেফতার থাকায় প্রতিষ্ঠানটির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হচ্ছে। অভিভাবকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, যা এক ধরনের শিক্ষা ও নৈতিকতা বিরোধী অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্রের সামিল।
এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ চিহ্নিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় নতৃবৃন্দ মসজিদ মিশন সংস্থা বাতিল ও নিষিদ্ধ করে স্কুল ও কলেজকে সরকারের শিক্ষানীতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধানের আওতায় পরিচালনা ও পুনর্গঠনের দাবি জানান।

আন্দালীব 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top