'নির্বাচন কমিশনারকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে ছাত্রশিবির' ছাত্রদল সভাপতির বক্তব্যকে গুজব বললেন কমিশন
রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪৫; আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:১৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, "আজকে নির্বাচন কমিশনার আমাদেরকে ফোন করে বলে যে, বাবা আমাদের বাঁচাও, ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের এখানে (কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়) পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে।" তবে নির্বাচন কমিশনার থেকে জানানো হয়েছে, তিনি গুজব ছড়িয়েছেন ও তার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ছাত্রদল সভাপতির এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কমিশন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনাররা বলেন, রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে গৃহীত সিদ্ধান্ত সরাসরি শিক্ষার্থী বা মিডিয়ার সামনে ঘোষণা করার প্রয়োজন হয়নি। এ কারণে কোনো সংগঠন কিংবা শিক্ষার্থী কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি। কিন্তু এরই মধ্যে ছাত্রদল সভাপতির একটি বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, 'নির্বাচন কমিশনার একটি সংগঠনের হামলা ঠেকাতে ছাত্রদলকে ডেকেছেন।'
এতে আরও বলা হয়েছে, এ প্রসঙ্গে কমিশনাররা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলছি, আমরা কেউই তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। উক্ত বক্তব্য একান্তই তার নিজের, এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই। রাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসে 'সন্ত্রাসী হামলা'র যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কমিশন এ ধরনের গুজবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য, পরমত সহিষ্ণুতা ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলামসহ নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দীন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক এবং অধ্যাপক ড. পারভেজ আজবাস।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে শাখা ছাত্রদল সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচন কমিশনার ফোনে জানান, তারা রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। তিনি ফোন করে বলেন, গত ২০ তারিখ শিবিরের কর্মীরা যেভাবে প্রো-ভিসি ও অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তার পর থেকে তিনি নিজেকে অনিরাপদ মনে করছেন। আজও শিবিরের কর্মীরা উগ্র স্লোগান দিচ্ছিল, যেকোনো সময় তারা হামলা চালাতে পারে—এই আশঙ্কায় কমিশনারসহ অন্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ কারণেই তিনি বিষয়টি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
কে ফোন দিয়েছিলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে একাধিক শিক্ষক কল করেছিল। কয়েকজন শিক্ষার্থীরাও কল করেছিল। তবে যিনি শিবিরের পিটিয়ে মারার আশঙ্কায় কল করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষকের নাম জানি না। আমাকে জানানি। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে কল করেছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: