ঢাবির ৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২১ ০১:২৬; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৩৫
 
                                ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
পাশাপাশি একই অভিযোগে দুইজনকে সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যায়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
রোববার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের আরো পাঁচ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, এর আগে ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির জন্য ৭৮ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছিলো। এই সাত জনসহ মোট ৮৫ জনকে বহিষ্কার করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ এই অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সিন্ডিকেটের সভায় পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৫১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১১ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভা থেকে এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিলো।
ডিজিটাল জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থায় ভর্তির করণে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাকসুদুর রহমান (ফজলুল হক মুসলিম হল), আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রিজন আহমেদ (কবি জসীমউদ্দীন হল), ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আয়েশা আক্তার তামান্না (বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল), ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শাহ মেহেদী হাসান (কবি জসীমউদ্দীন হল), ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মুহাইমিনুল ইসলাম (স্যার এএফ রহমান হল), দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের মো. শাহেদ আহমেদ (অমর একুশে হল)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
সূত্র: যুগান্তর

 
                                                    -2022-12-20-17-46-19.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: