রাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক বিধান চন্দ্র
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২১ ০৪:১৩; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৫৬
-2021-05-27-22-12-15.jpg) 
                                রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তাঁকে সভাপতি দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
জানতে চাইলে নতুন সভাপতি অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস জানান, এমন এক সময়ে এই গুরু দায়িত্ব এসেছে, যখন দেশে করোনায় টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। এমনকি দীর্ঘছুটির ফলে শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় অভিভাবক হিসেবে সর্বাবস্থায় তাদের পাশে থাকার পাশাপাশি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের চেষ্টা অব্যাহত রাখব। এছাড়াও সংশ্নিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
১৯৭৮ সালে অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (১৯৮৮) এবং ইংল্যান্ডের ইস্ট অ্যংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল (কমনওয়েলথ ফেলো ২০০৫-৬) করেছেন।
তিনি পিএইচডি, এমফিল ও মাস্টার্স পর্যায়ে অনেকের গবেষণা কাজ তত্ত্বাবধান করার পাশাপাশি ইংল্যন্ড, ওয়েলস, ঘানা ও জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (জার্মানির একটি ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াসসহ) সাথে সম্মিলিতভাবে গবেষণা প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী হিসাবে কাজ করেছেন এবং ব্যঙ্গুর বিশ্ববিদ্যালয় (ওয়েলস)-এ ভিজিটিং ফেলো হিসেবেও ছিলেন।
এক ডজনেরও বেশি নতুন প্রাণী প্রজাতির আবিষ্কর্তা এই অধ্যাপকের দেশ-বিদেশে প্রকাশিত জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আশি। তাছাড়া এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি দেশে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এই অধ্যাপক।
এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক (২০১০ - ১৩) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের (২০১৩ - ১৬) দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ড. দাস পরিবেশ বিষয়ক বেতার ও দৈনিক সংবাদপত্রে নিয়মিত লিখালেখি করেন। হিমালয় ও সুন্দরবন তাঁর গবেষণার প্রিয় ক্ষেত্র।
২০০৯ সালে ঘুর্ণিঝড় আইলার আঘাতে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হলে সেই মর্মান্তিক ঘটনার উপর একটি ডকুড্রামার (Living With Disaster)- স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। এটি যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত ও ঘানাতে প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও জার্মানির একটি মিউজিয়ামে এটি প্রায় দেড়মাস প্রদর্শিত হয়।
- এসএইচ

 
                                                    -2022-12-20-17-46-19.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: