দুষিত হচ্ছে পরিবেশ

বুলনপুরের মহল পুকুর যেন এক ভাগাড়!

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২০ ০৪:৫২; আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২০ ১৪:২৫

কচুরীপানায় ভর্তি বুলনপুরের মহল পুকুর

রাজশাহী মহানগরীকে যেমন শিক্ষা নগরী বলা হয় থাকে, তেমনি এই শহর কে পুকুরের শহর বলা হতো। আজ থেকে ১৫-২০ বছর পূর্বেও শহরের আনাচে কানাচে ছিলো ছোট বড় অনেক পুকুর।

কিন্তু কালের বিবর্তনে মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটাতে ও বসবাসের নীড় তৈরী করতে এ সকল মূল্যবান পুকুর নির্বিচার ভরাট করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা এখনো রয়েছে। যদিও সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীতে সকল প্রকার পুকুর ভরাট বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

 

কিন্তু গোপনে এখনো চলছে পুকুর ভরাট। তবে এর রকম হয়েছে ভিন্ন। ধীরে ধীরে চারিদিকে মাটি ও আবর্জনা ফেলে ভরাট অব্যাহত রয়েছে। যে সকল পুকুর এখনো আছে সেগুলো এই ভাবেই ভরাট হচ্ছে। পাশাপাশি দুষিত হচ্ছে পরিবেশ।

একদিকে যেমন গ্রাম পর্যায়ে আবাদি জমি কেটে পুকুর খনন করা সরকারীভাবে বন্ধ করা হলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। অন্য দিকে শহরে এর চিত্র সম্পূর্ন ভীন্ন। এ ছাড়াও ভরাট না হলেও কচুরীপানা ও ময়লা আবর্র্জনায় বেশীরভাগ পুকুর ভরে যাচ্ছে।

কিন্তু এগুলোর দিকে নেই সরকারের নজর। পূর্বে পুকুর ছিলো নগর জীবনের পানির প্রায় একমাত্র উৎস। পুকুরের পানি অনেকেই পান করতেন। এছাড়াও থালা-বাসন ধোয়া ও গোসল করাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করা হতো পুকুরের পানি দিয়ে। অথচ এখন মাছ চাষ করার নামে পুকুরে দেয়া হয়, খাদ্য নামের অখাদ্য। যার কারনে পুকুরের পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের আওতায় রাজশাহী নগরীর কোর্ট বুলনপুরে প্রায় দুই বিঘা পরিমানের পুকুর এখন কচুরীপানা আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে আজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পুকুরটি কচুরীপানা ও ময়লায় ভরা। সেইসাথে ধীরে ধীরে হচ্ছে ভরাট।

বুলনপুরের সাইদুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী ফেরদৌসী জানান আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে পুকুরটিতে মাছের চাষাবাদ হতো। সে সময়ে গোসল করা ,কাপুর কাচা, থালা-বাসুন ধোয়া, ছোট ছেলে-মেয়েদের গোসল করানোসহ এই পানি দিয়ে রান্নার কাজ করা হতো।

এই পুকুরে সব সময় ছিলো মানুষের আনাগুনা। এই মহল পুকুরটি ছিলো আমাদের এলাকাবাসীদের পানির অন্যতম স্থান। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পুকুটি কচুরীপানা, ময়লা-আর্বজনা, আর কিছু মানুষের দখলের করনে পুকুটি যেন ছোট হয়ে গেছে। এই পুকুরে আর কোন কাজ করা যায়না। হয়না মাছেরও চাষ।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ৪ নং কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে থেকে তার ছেলে নামে পুকুর টি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা মাছ চাষ করতেন। কিন্তুু পরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের আওতায় চলে যাওয়ায় তার লিজ বাতিল হয়ে যায়। পুনরায় পুকুরটি লিজ নেয়ার জন্য তিনি জেলা প্রসাশক বরাবর একটি আবেদন করেছেন বলে জানান তিনি।

আন্দালীব



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top